ফেডারেশনের আপত্তি সত্ত্বেও লকডাউনে বাড়িতে বসে শুটিং অব্যাহত

0
132

নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ

করোনার বাড়বাড়ন্তের কারণে লকডাউন ফের হতে পারে তা ভেবে নিয়েই সিরিয়ালের শুটিং ব্যাঙ্কিং করেছিল প্রযোজনা সংস্থাগুলি। ফলে, এতদিন নতুন এপিসোড দেখতে পেয়েছে দর্শক। কিন্তু সমস্যাটা বেঁধেছে ৩০ মে’র পরও ১৫ জুন অবধি লকডাউন বেড়ে যাওয়ায়।

krishnakali | newsfront.co

এই পরিস্থিতিতে ‘কৃষ্ণকলি’, ‘যমুনা ঢাকি’র মতো বেশ কিছু ধারাবাহিকের অভিনেতারা বাড়ি থেকে নিজের অংশটুকু শুট করে চ্যানেলের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। নীল ভট্টাচার্য গ্রাউন্ড ওয়ার্ক করে শুটিং করছেন। কেবল ক্লোজ় শট, মিড লেংথ নেওয়া হচ্ছে। ব্যাকগ্রাউন্ড যতটা সম্ভব ফ্যাকাশে করেই করছেন শুটিং। তাঁর ঘরণী তৃণা সাহা রয়েছেন ক্যামেরার দায়িত্বে।

shayama | newsfront.co

আবার ‘যমুনা ঢাকি’র যমুনা অর্থাৎ শ্বেতা ভট্টাচার্য লুকটা একটু চেঞ্জ করে নিয়েছেন। উইগ ছেড়ে নিজের হেয়ার স্টাইল রেখে কাজ করছেন। কারণ হেয়ার ড্রেসার কই? ‘সাঁঝের বাতি’ ধারাবাহিকের আর্য রেজ়ওয়ান রব্বানি শেখের বাড়িতে লাইটের সেট-আপ আগে থেকেই ছিল। তাই এখন সেটা কাজে লেগে যাচ্ছে বলে আপ্লুত তিনি।

mampi and raja | newsfront.co

বাড়িতে বসে শুটিং করছে ‘বরণ’, ‘খেলাঘর’-এর অভিনেতারাও ৷ তবে বাড়ি থেকে এ ভাবে শুটিং করা নিয়ে বিরোধিতা জানিয়েছে ‘ফেডারেশন অব সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’।সূত্রের খবর অনুযায়ী, সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন- ‘‘ফেডারেশনকে না জানিয়েই বাড়ি থেকে অভিনেতাদের দিয়ে শুটিং করিয়ে ‘কৃষ্ণকলি’, ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’-র টেলিকাস্ট হয়েছে। প্রযোজকরা ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্যই করেছেন। কেন করেছেন, তার জবাবদিহি চেয়ে সুশান্ত দাস ও জি বাংলাকে চিঠি পাঠিয়েছি। সদুত্তর না মিললে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

shantu | newsfront.co

সূত্রের খবর, জি বাংলার ক্লাস্টার হেড সম্রাট ঘোষের কথায়, বাড়িতে বসে শুটিং করা যাবেনা এমন নির্দেশ তো আসেনি সরকারি তরফে। বাড়িতে বসে শুটিং করলে গল্প এগোবে, চ্যানেলেরও তাতে ভাল হবে। দর্শক ঘরে বসে নতুন এপিসোডের মজা নিতে পারবে। তাতে তাদের একঘেয়েমি কাটবে।ওদিক প্রযোজক সুশান্ত দাসের কথায়- ‘‘শুটিং না করলে ক্ষতির মুখে পড়ব। চিঠি এলে প্রোডিউসর্স গিল্ডের মাধ্যমে জবাব দেব।’’

আরও পড়ুনঃ স্টুডিও পাড়ার পথ সারমেয়দের পাশে বিনোদন দুনিয়ার দম্পতি

জানা গিয়েছে, আজ রবিবার লকডাউনে শুট ফ্রম হোম-এর কর্মকাণ্ডটিকে ‘ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন প্রোডিউসর্স (ডব্লিউএটিপি)’ সমর্থন জানিয়েছে।ওদিকে বাড়ি থেকে কাজ চলার ফলে বঞ্চিত হচ্ছেন টেকনিশিয়ানরা- এমনই দাবি ফেডারেশনের। অন্যদিকে, প্রযোজকদের আবার একাংশের দাবি, ইন্ডাস্ট্রিকে বাঁচানোর জন্যই এই উদ্যোগ।

চ্যানেল চলছে, ইন্ডাস্ট্রি বাঁচাতে, কারোর ক্ষতির জন্য নয়। প্রযোজকদের তরফে আরও জানানো হয়েছে, তাঁদের উদ্দেশ্য টেকনিশিয়ানদের বাদ দিয়ে কাজ চালিয়ে নিয়ে যাওয়া নয়। বরং অন্যভাবেও কিছু ভাবার চেষ্টা করছেন তাঁরা। কীভাবে টেকনিশিয়ানদের সঙ্গে নিয়েই কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সেই ব্যাপারেই চলছে আলোচনা।

আরও পড়ুনঃ শিল্পীর পাশে পরিচালক

সবরকমের সামাজিক বিধি মেনে অভিনেতাদের বাড়িতে গিয়ে ক্রোমা স্ক্রিন টাঙিয়ে, লাইটের ব্যবস্থা করে কাজ করানোর ভাবনাচিন্তাও চলছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকী মেক-আপ আর্টিস্টরাও কোভিড বিধি মেনে অভিনেতাদের বাড়িতে গিয়ে মেক-আপ করে আসতে পারেন ভাবা হচ্ছে তেমনটাও।

প্রযোজকদের তরফ থেকে আজকের সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়েছে দর্শকরা যাতে কোনওভাবেই নতুন এপিসোড দেখা থেকে বঞ্চিত না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখবে প্রোডিউসার্স গিল্ড। তাই চ্যানেলের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী তাঁরা নতুন এপিসোডের জন্য কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবেন।সিরিয়ালের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা যাতে কাজের অভাবে ফের সমস্যায় না পড়েন তাই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here