নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
জাস্ট স্টুডিও নিবেদিন শর্ট ফিল্ম ‘মিসিং টু’ হাজির দর্শক দরবারে। পাওয়া আর খোয়ানোর গল্প নিয়ে এই স্বল্প সময়ের ছবি। বাস্তব সম্বল করে এই ছবি বানিয়েছে জাস্ট স্টুডিও। ‘মিসিং টু’ তিন স্তরের তিন ধরনের জীবনযাপনের সঙ্গে অভ্যস্ত মহিলাদের স্যালুট জানায়। এদের মধ্যে একজন আশা সেন।
সে কলকাতা নিবাসী পাক্কা গৃহিণী। ঘর থেকে সে কালেভদ্রে বেরোয়। ঘরই তার কাছে আস্ত একটা জগত। তার জীবনে লকডাউন বিশেষ প্রভাব ফেলে না। লকডাউনের আগেও আশা সেনের জীবন যেমন ছিল আজও তাই-ই আছে। আগেও সে কেবল রাঁধত, বাড়ত আজও তাইই করে।
বরং নিজের মতো অন্যদেরও ঘরবন্দি হয়ে থাকতে দেখে আনন্দ পায় সে। ভাবে প্রতিশোধ নিতে পারছি। এটাকেই সে নিজের প্রাপ্তি বলে মনে করে।
আশা মনে করে, যারা আগে পাট পাট শাড়ি পরে কোমর দুলিয়ে, বিনুনি এলিয়ে আপিসে যেত তারাও আজ দিনরাত বাসন মাজছে, জামাকাপড় মেলছে, রান্নাঘরে ঘাম ঝরাচ্ছে তারা হাড়ে হাড়ে টের পাবে আশার মতো সারাদিন ঘরে থাকার যন্ত্রণা।
আরও পড়ুনঃ জয়জিতের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় শর্ট ফিল্ম ‘হু ওয়াজ হি?’
আরেকজন মুসকান শর্মা। সে আজ কর্মহীন। ঘরেই কাটছে জীবন। শুধু বেঙ্গালুরুর মুসকান নয়, আজ কর্মহীন আরও না জানি কত মুসকান। লকডাউন পাল্টে দিয়েছে কত না মুসকানের জীবনের গতিপথ। একইভাবে এই লকডাউনের জেরে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স। যার শিকার দিল্লির লক্ষ্মী।
আশা, মুসকান এবং লক্ষ্মীর জীবনে ক্রাইসিসের ধরনটা আলাদা, তিনজনের লাইফস্টাইল আলাদা, চিন্তাভাবনা আলাদা, পাওয়া না পাওয়া আর চাওয়া না চাওয়ার মধ্যেও রয়েছে বিস্তর ফারাক। কিন্তু একটা জায়গায় গিয়ে তিনজনেই এক। তারা তিনজনই আসলে মহিলা।
আরও পড়ুনঃ সত্যজিতের ‘পেইন্টিংস ইন দ্য ডার্ক’ রাখা থাকবে ইউ এস এ ফিল্ম লাইব্রেরিতে
মুসকান হারিয়েছে চাকরি। নেই রোজগার। ম্লান হয়েছে মুখের হাসি। লক্ষ্মী অত্যাচারের শিকার আর আশার নতুন করে পাওয়ার বা হারানোর কিছু নেই। সে যেমন ছিল তেমনই আছে। বরং অন্যদের তার নিজের মতো গৃহবন্দি হতে দেখাটাকে প্রাপ্তি বলে মনে করছে।
এহেন আশা, মুসকান, লক্ষ্মীকে আমরা সকলেই চিনি। এরা আসলে বাস্তবের মাটিতে টিকে থাকা মেয়েদের প্রতিনিধি। এরা চোখে আঙুল দিয়ে চেনায় তাদের মতো অন্যদের। জাস্ট স্টুডিও আশা, মুসকান, লক্ষ্মীদের স্যালুট জানায়।
আশার চরিত্রে সঙ্গীত শিল্পী ইমন চক্রবর্তী। মুসকানের চরিত্রে অমৃতা চ্যাটার্জি। লক্ষ্মীর চরিত্রে ঋ সেন। ইমন পর্দায় বেশিদিনের খিলাড়ি নন। তবে, নিজস্বতার গুণে সমৃদ্ধ করেছেন আশা চরিত্রটিকে। অমৃতা এবং ঋ জাত অভিনেত্রী। তিনজনের অভিনয়ই নজর কাড়ে। দেখতে পারেন সুচন্দ্রা ভানিয়ার প্রযোজনায় ‘মিসিং টু’।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584