‘যুদ্ধ’ দীর্ঘজীবী হোক

0
128

নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ

ভাল থাকার লড়াইয়ে আজ শামিল আমরা সবাই। লড়তে হবে, লড়াই করে বাঁচতে হবে। কাঁধে কাঁধ রেখে বা হাতে হাত রেখে লড়াইয়ের সময় এটা নয়। বরং মানসিকভাবে এক হয়ে লড়াই করার দিন এসেছে। তাই দূরত্ব মেনে “করোনা দূর হটো” কথাটা বলতে আজ অভ্যস্ত হয়েছি আমরা। আরেকদিকে তাকালে দেখা যাবে, এই করোনা কিংবা লকডাউনের দৌলতে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্ত- সকলেই প্রায় এক সুতোয় বেঁধে রয়েছি আমরা। বিনোদনের দরজা তিন শ্রেণীর জন্যই বন্ধ।

Yudhha shotfilm | newsfront.co

শপিং মলে গিয়ে ঠাণ্ডা বাতাসে উইন্ডো শপিং সেরে উচ্চবিত্তও কফির কাপে ধোঁয়া উড়িয়ে চুমুক দিচ্ছেন না, মধ্যবিত্তও দিচ্ছেন না। এর একটাই কারণ, ‘করোনা’। কিন্তু একটা কথা তো সত্যি, মানুষ বিনোদন ছাড়া বাঁচে না। আর তাই ঘরে বসে শিল্পমনস্ক মানুষেরা বানিয়ে ফেলছেন নিজেদের ভাবনায় গড়া শর্ট ফিল্ম। গল্পের কেন্দ্রে থাকছে ‘করোনা’।

shortfilm | newsfront.co

এবার এহেন এক উদ্যোগে শামিল গ্রাফিক্স আর্টিস্ট অসীম কর্মকার। তিনিও ঘরে বসেই বানিয়ে ফেললেন একটি শর্ট ফিল্ম।গল্পের কেন্দ্রে রয়েছে করোনা সচেতনতা। তবে, একটু মজার ঢঙে। অসীম নির্মিত শর্টফিল্মের নাম ‘যুদ্ধ’। গল্পটা এরকম- লকডাউন পিরিয়ডে একজন স্বপ্ন দেখছে যে ডিসেম্বরের এক সকালে সে অফিস যাচ্ছে। গায়ে গরম জামাকাপড় বলতে একটা কালো জ্যাকেট মাত্র।

আরও পড়ুনঃ এক দুর্গতির গল্প নিয়ে আসছে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ‘দুর্গা দুর্গতি’

shortfilm | newsfront.co

তার দাবি, কাজের চাপে গা গরম হয়ে যাবে। ঘুম ভাঙলে সব যায় ওলটপালট হয়ে। বাস্তবে পা রেখে সে দেখে, ডেস্কে কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের বদলে হাতে তার রয়েছে ঝাড়ু। কারণ ঘুমে ডুব দেওয়ার আগে সে ওই ঝাড়ু নিয়েই কর্মরত ছিল। আর থাকবে নাই বা কেন, সারাদিন বাড়িতে থাকলে চক্ষু লজ্জার খাতিরে হলেও গিন্নির পাশে সংসার যুদ্ধে অস্ত্র হাতে দাঁড়াতে হয় কর্তাদের। এই ব্যক্তিও ঠিক সেটাই করছে। পাশাপাশি হাতের কাজ সেরে নিজেকে স্যানিটাইজ করছে নিয়ম মেনে। ঘরে থাকছে সর্বক্ষণ।

আরও পড়ুনঃ ‘বনবাস’ কতদিনের?

এই শর্ট ফিল্মের মাধ্যমে অসীম কর্মকার একটা কথাই বোঝাতে চেয়েছেন, ঘরে বসে যে কাজই করো না কেন, নিজেকে স্যানিটাইজ করাটা জরুরি। মাস্ক পরাটাও অবশ্য করণীয়। তা হলেই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে৷ না হলে লড়াইয়ের আগেই হার স্বীকার করতে হবে।

মূল চরিত্রে রয়েছেন অসীম কর্মকার স্বয়ং। ক্যামেরায় অসীম জায়া সুস্মিতা কর্মকার। একটি দৃশ্যে রয়েছে অসীম কন্যা অস্মিতা কর্মকার। আর অতিথি শিল্পী হিসেবে রয়েছে তিনটি লাইট। সবমিলিয়ে একটু হলেও অন্য অনুভূতির সঞ্চার করল ‘যুদ্ধ’।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here