নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদহঃ
এক সপ্তাহের মাথায় কোতুয়ালীর ধানতলা থেকে উদ্ধার আগ্নিদগ্ধ মহিলার খুনের হদিশ পেল পুলিশ। খুনের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। মৃত দেহ সনাক্ত করে মৃতের পরিবার। বুধবার সকালে মালদা মেডিকেলের মর্গে মৃত মহিলার হাতে ট্যাটো ও পায়ে বাধা কালো সুতো দেখে চিহ্নিত করে মা। এছাড়াও মহিলার হাতের আঙটি ও বালা দেখে চিনতে পারে।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে মৃত মহিলার বাড়ি শিলিগুড়ি শহরের অম্বিকানগরে। মহিলার স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে।পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে ধৃত ব্যাক্তির নাম বাপন ঘোষ। বাড়ি ইংরেজবাজারের কোতুয়ালী সাহাজালালপুর গ্রামে। পরিবারে তার স্ত্রী রয়েছে। দুই বছর আগে শিলিগুড়ির মহিলার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তাদের মধ্যে সম্পর্ক গভীর হয়ে ওঠে। মেয়েটি বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। এদিকে বিষয়টি বাপন ঘোষের স্ত্রী জেনে ফেলায় পরিবারে অশান্তি বাধে। গত ২ ডিসেম্বর শিলিগুড়ি থেকে মালদায় আসে মহিলা। বাপনকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে দুই জনের মধ্যে বিবাদ বাধে। ঘটনায় মহিলার শ্বাসরোধ করে খুন করে। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য গ্রামের পাশে আমবাগানে দেহ কেরসিন ঢেলে পুড়িয়ে দেয়। ঘটনায় এখন পর্যন্ত এক জন গ্রেফতার হলেও পুলিশের ধারণা এর পেছনে আরো কেউ থাকতে পারে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584