নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ারঃ
ছয়টি শকুন ছাড়া হলো রাজাভাত খাওয়ার শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে। এই শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে আকাশে উড়ে গেল প্রজনন কেন্দ্রের ছয় শকুন। জানা গিয়েছে হিমালয়ান গ্রিফন প্রজাতির ছয় শকুনকে আকাশে ছাড়া হলো। ইতিমধ্যে ডেমি স্যাটেলাইট ট্রান্সমিশন ট্যাগ দিয়ে তাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।

এই ছয় শকুনের মধ্যে দুটো শকুনের পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিশন ট্যাগ লাগানো থাকবে। বাকি চার শকুনকে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিশন ট্যাগ ছাড়াই আকাশে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার এই ছয় শকুনকে রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে প্রাকৃতিক পরিবেশে ছাড়া হলো।এদিন রাজ্যের নতুন বনমন্ত্রী রাজিব বন্দোপাধ্যায় রাজাভাতখাওয়াতে উপস্থিত ছিলেন । রাজ্যের বন্যপ্রান বিভাগের প্রধান মুখ্য বনপাল রবিকান্ত সিনহা ।
আরও পড়ুনঃ পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি পারভেজ মোশারফের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ


উল্লেখ্য, ২০০৬ সনে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাত খাওয়া রেঞ্জের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে শকুন প্রজনন কেন্দ্রে চালু হয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিলুপ্ত প্রায় শকুন উদ্ধার করে এই প্রজনন কেন্দ্রে রেখে তাদের বংশ বৃদ্ধি শুরু করা হয়।

আরও পড়ুনঃ তৃণমূল কর্মীর জমির মিনিতে আগুন দুষ্কৃতিকারীদের
বর্তমানে রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্রে চার প্রজাতির মোট ১৩০ টি শকুন রয়েছে। এই চার প্রজাতির শকুন হচ্ছে স্ল্যান্ডার বিল্ড,লং বিল্ড,হোয়াইট ব্যাক বিল্ড এবং হিমালয়ান গ্রিফন প্রজাতি। জানা গিয়েছে ডাইক্লোফেনাক নামে একটি ওষুক পশুর শরীরে ব্যাবহৃত হয়।
পশুর ব্যাথা উপশম সহ বিভিন্ন অসুখে তা ব্যাবহার করা হয়। মরা পশুর দেহ থেকে এই ডাইক্লোফেনাক শকুনের শরীরের প্রবেশ করলে ৭২ ঘন্টার মধ্যে শকুনের মৃত্যু হয়। তার জেরে পরিবেশ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এই পাখি। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এই ছয় শকুন যদি মুক্ত পরিবেশে নিজেদের সুস্থ রাখতে পারে। তবে আগামী দিনে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা যাবে বলে আশাবাদী বনদপ্তর।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584