নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ
সামান্য ছাড় পেলেন পুজো উদ্যোক্তারা। তবে দর্শক শূন্য মণ্ডপেই হবে পুজো। পঞ্চমীর রায়েও আগের নির্দেশই বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসবে’র করা পুজো মামলার রায়ের পুনর্বিবেচনার করে সামান্য পরিবর্তন করেছেন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ।
এ দিনের পরিবর্তিত রায়ে বলা হয়েছে, ঢাকিরা মণ্ডপের নো এন্ট্রি জোনের মধ্যে থাকতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলকভাবে করতে হবে। তা ছাড়া বড় পুজোগুলির মণ্ডপে কমিটির ৬০ জন সদস্যের তালিকা তৈরি করা যাবে।
৩০০ বর্গমিটারের কম আয়তনের মণ্ডপের ক্ষেত্রে ১০ জন এবং বড় মণ্ডপে একসঙ্গে থাকতে পারবেন ৪৫ জন। প্রতিদিন বদল করা যেতে পারে পুজো উদ্যোক্তাদের নামের তালিকা। সকাল আটটার সময় সেই তালিকা মণ্ডপের বাইরে টাঙিয়ে দিতে হবে। তবে অঞ্জলি, সিঁদুরখেলায় ছাড় দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুনঃ হাইকোর্টের রায় না বদলালে ই-পাসের দাম ফেরাবে ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’
অতিমারীর আবহে গত সোমবারই ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। রায়ে বলা হয়েছিল প্রতিটি পুজো মণ্ডপ এবার কন্টেইনমেন্ট জোন বলে গণ্য হবে। কোনও মণ্ডপেই দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রতিটি মণ্ডপের বাইরে নো এন্ট্রি বোর্ড ঝুলিয়ে রাখতে হবে। বড় মণ্ডপগুলির ক্ষেত্রে ১০ ফুট আর ছোট মণ্ডপগুলির ক্ষেত্রে ৫ ফুট দূরত্ব বজায়ের নির্দেশিকা জারি করা হয়।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যে সরকারি করোনা হাসপাতালে বাড়ল ২ হাজারের বেশি বেড
কলকাতা হাই কোর্টের তরফে আরও জানিয়ে দেওয়া হয়, ১৫ থেকে ২৫ জন উদ্যোক্তাই ঢুকতে পারবেন মণ্ডপে। তাঁদের তালিকা আগে থেকেই জমা দিতে হবে। পুজোয় সমস্ত নির্দেশিকা মানা হল কিনা, সে বিষয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে হলফনামা জমারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
হাইকোর্টের রায় মোতাবেক কাজ হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কমিশনারদের লক্ষ্মীপুজোর পর আদালতে রিপোর্ট জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ক্লিক করে প্রতিমা দর্শনের উদ্যোগ
হাইকোর্টের এই রায়ের পরই চিন্তা বাড়ে পুজো উদ্যোক্তাদের। তাই এই নির্দেশিকার পরই রায় পুনর্বিবেচনার দাবিতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’।
তবে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম’ও হাই কোর্টের রায়কে সমর্থন জানায়। বুধবার মামলার শুনানিতে পুজো উদ্যোক্তাদের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কয়েকটি আরজি জানান। তিনি জানান, ধাপে ধাপে সমস্ত পুজো উদ্যোক্তা এবং স্থানীয়দের মণ্ডপে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হোক।
এছাড়া অষ্টমীর অঞ্জলি এবং সন্ধিপুজোতেও ঢাকি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাঁদের ক্ষেত্রে স্পষ্টভাবে আদালত কিছু জানাক। পুজো উদ্যোক্তাদের সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই এ দিন হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে দর্শকশূন্য মণ্ডপেই হবে পুজো। মন্ডপের নো এনট্রি জোনের মধ্যে থাকতে পারবেন ঢাকিরা। তবে স্থানীয়দের প্রবেশে কিছু বিধি পরিবর্তন করা হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584