জাতীয় কংগ্রেসে নয়া তিন নীতি নির্ধারণ কমিটি, স্থান পেলেন বিদ্রোহী নেতারাও

0
91

নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ

বিহার নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই দলের মধ্যে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে বিরোধী সুর। তার মধ্যে দিল্লির বায়ু দূষনে অসুস্থ হয়ে পড়ায় চিৎসকের পরামর্শে সোনিয়া গান্ধী পৌঁছেছেন গোয়ায়। শারীরিক অসুস্থতার মধ্যেই অর্থ, বিদেশ ও জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে নীতি নির্ধারণের জন্য তিনটি পৃথক দলীয় কমিটি গঠন করলেন সোনিয়া। তিনটি কমিটিতেই রয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডাঃ মনমোহন সিং।

sonia gandhi | newsfront.co
কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। ফাইল চিত্র

নবগঠিত কংগ্রেসের আর্থিক নীতি নির্ধারণ কমিটিতে রয়েছেন পি চিদাম্বরম, মল্লিকার্জুন খাড়গে ও দ্বিগিজয় সিং। এই কমিটির আহ্বায়ক প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী জয়রাম রমেশ।

বিদেশ বিষয়ক কংগ্রেসের নীতি নির্ধারণ কমিটির সদস্য আনন্দ শর্মা, শশী থারুর, সলমান খুরশিদ ও স্তগিরি উলাকা। এই কমিটির আহ্বায়ক সলমন খুরশিদ।

আরও পড়ুনঃ ‘বাড়াবাড়ি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী’, কোচবিহারের তৃণমূল বিধায়কের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে চাঞ্চল্য

রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলামনবি আজাদ, বীরাপ্পা মইলি, ভিনসেন্ট এইচ পালা ও ভি ভাইথিলিয়াঙ্গমকে রাখা হয়েছে দলের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক নীতি নির্ধারণ কমিটিতে। ভি এইচ পালাকে এই কমমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে।

এআইসিসি-র জেনারেল সেক্রেটারি কে সি বেণুগোপাল জানিয়েছেন, অর্থ, বিদেশ ও জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে নীতি নির্ধারণের জন্য দলের মধ্যেই কমিটি গঠন করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। এই সব ইস্যুতে দলের সিদ্ধান্ত কী হবে তা এই কমিটি প্রথামিকভাবে চূড়ান্ত করবে।

দলে সঠিক নেতৃত্ব ও দলের সাংগঠনিক বদলের দাবিতে এর আগে কংগ্রেসের ২৩ জন নেতা সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি দিয়েছিলেন। যা জাতীয় রাজনীতিতে শুরু হয় প্রবল আলোড়ন। শতাব্দী প্রাচীন দলের আভ্যন্তরীণ বিক্ষোভও প্রকট হয়ে ওঠে।

আরও পড়ুনঃ হুগলির মাটিতে দাঁড়িয়ে নাম না করে কল্যাণকে তোপ শুভেন্দুর

সে সময় বিশেষ সভা ডেকে সভানেত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি চান সোনিয়া গান্ধী। পরে তাঁকেই আবার সভানেত্রী হিসাবে মেনে নেয় সকলেই। নবগঠিত তিনটি কমিটিতে রয়েছেন আনন্দ শর্মা, গুলাম নবি আজাদ, বীরাপ্পা মইলি, শশী থারুরদের মতো নেতারা, যাঁরা প্রত্যেকেই নেতৃত্বে বদল চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন সোনিয়াকে।

বিহার ভোটে দলের শোচনীয় ফলের পর কপিল সিব্বল, পি চিদাম্বরমরা আবার সরব হয়েছিলেন নেতৃত্বের প্রশ্নে। তারপরই গড়া হল তিনটি নীতি নির্ধারণ কমিটি, স্থান পেলেন ‘বিদ্রোহী’ রা। রাজধানীতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, আভ্যন্তরীণ ক্ষোভ প্রশমনের উদ্দেশ্যেই কি তড়িঘড়ি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত!

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here