অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, স্পোর্টস ডেস্কঃ
খুশির সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্য। এবার তাঁকে ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা পরিষেবা কর দেওয়া থেকে অব্যাহতি দিল কাস্টমস, এক্সাইজ অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স অ্যাপেলেট ট্রাইব্যুনাল (সেসটাট)।
বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে প্রচার, টেলিভিশনে সঞ্চালনা, ক্রিকেট খেলে অর্জিত টাকা, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কলাম লেখা- এগুলোর জন্যই সৌরভকে এই পরিষেবা কর দিতে হবে বলে দাবি করেছিল কলকাতা সেন্ট্রাল এক্সাইজ ইনটেলিজেন্স।
আরও পড়ুনঃ বক্সিং ডে টেস্টে ফিরবেন ওয়ার্নার
কিন্তু সেসটাট জানিয়ে দিয়েছে, যদি কোনও সেলিব্রিটি বিশেষ কোনও পণ্যের নাম না নিয়ে নিজের ‘ব্র্যান্ড নেম’ বা ‘হাউস মার্ক’ প্রচার করেন, তাহলে সেটা বাণিজ্যিক পরিষেবা হিসেবে দেখা হবে না এবং পরিষেবা কর আইন অনুযায়ী তার জন্য কর দিতে হবে না। অর্থাৎ ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ও বর্তমান বোর্ড সভাপতি সৌরভ তাঁর নিজের নামের ব্র্যান্ড ভ্যালুই ব্যবহার করেছেন এবং এটাকে কোনওভাবেই পণ্য হিসেবে দেখা যাবে না। সেসটাটের রায় অনুযায়ী এটা একেবারেই করযোগ্য নয়।
সেসটাটের কলকাতা বে়ঞ্চ তার রায়ে এটাও বলেছে, ১ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা এবং ৫০ লক্ষ টাকার ওপর যে সুদ হয়, সৌরভ সেটাও পাবেন। সরকারের কাছে এই টাকা জমা রাখার দিন থেকে ক্যালকাটা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে তা স্থানান্তরিত হওয়ার দিন পর্যন্ত এই সুদের হিসেব হবে। বছরে ১০ শতাংশ সুদে এই টাকা সৌরভ পাবেন। রায় বেরনোর এক মাসের মধ্যে সেন্ট্রাল এক্সাইজ সেই টাকা সৌরভকে দেবে।
আরও পড়ুনঃ হাবাস বলছেন, আইএসএলে রয় কৃষ্ণাই সেরা
কলকাতা সেন্ট্রাল এক্সাইজ ইনটেলিজেন্সের ডিরেক্টর জেনারেল ২০০৯ সালের ৫ নভেম্বর সৌরভের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। বেশ কিছু নথি চেয়ে পাঠানো হয়। ২০১১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সৌরভকে একটি শো-কজ নোটিস পাঠানো হয়।
সেখানে বলা হয়, ২০০৬ সালের ১ মে থেকে ২০১০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে সৌরভের আয়ের ওপর কর দিতে হবে। এর জবাবে সৌরভ বলেন, ওই সময়ের মধ্যে তিনি এমন কোনও ‘সার্ভিস’ দেননি, যার জন্য তাঁকে কর দিতে হবে। এটাও বলা হয়, ক্রিকেটে সৌরভ একজন কিংবদন্তি তাই তার ব্র্যান্ড ভ্যালু ব্যবহার হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584