শরীয়তুল্লাহ সোহন, ওয়েব ডেস্কঃ
বিরাট কোহলিকে ওয়ানডে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার দুই সপ্তাহ হয়ে গেলেও আলোচনা থামেনি। তবে ক্রিকেট বিষেশজ্ঞ মহলের ধারণা এই বিরাট ঝড় সহজে থামবে না। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে বিরাট কোহলি সরাসরি নানা কথা বলেন বোর্ডের বিরুদ্ধে। যা বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলীর পরস্পর বিরোধী কথা। এই বিষয়টি অনেকেরই ভালো লাগেনি। তাদের মাঝে একজন ৮৩ -এর বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য কীর্তি আজাদ। তার মতে, কোহলিকে নিয়ে এই সমস্যা আরও ভালোভাবে সামলানো উচিত ছিল সৌরভের।
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি অতীতে সৌরভের করুণ অবস্থার কথা তুলে ধরেন। চ্যাপেলের আমলে যখন সৌরভকে জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরানো হয়েছিল, তখন জাতীয় নির্বাচক ছিলেন কীর্তি। সেই সময়ের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘গ্রেগ চ্যাপেল যখন কোচ ছিল এবং সৌরভকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তখন আমি তার পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। নিজের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে কোহলির সঙ্গে তার অনেক আগেই কথা বলা উচিত ছিল। তার মানে এটা বলছি না যে, কোহলির ব্যাপারটা আলাদা করে দেখতে হবে। এমন দাবি আমি করছি না। কিন্তু কোনো সন্দেহ নেই, সে স্পেশাল ব্যাটার, স্পেশাল ক্রিকেটার। সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়।’
এরপর আর এক ধাপ এগিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভের উদ্দেশে কীর্তি আজাদ আরও বলেন, ‘বিষাণ বেদি, সুনীল গাভাস্কারকে কীভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেটা আমরা জানি। ভেঙ্কটরাঘবনের কথাই ধরুন। সে বিমানে ছিল। নামার পর শুনল অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সৌরভেরও উচিত ছিল নিজের অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রাখা।’
বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য, বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী বলেছিলেন, তিনি নাকি কোহলিকে টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছাড়তে বিশেষভাবে নিষেধ করেন। কোহলি সেই বারণ শোনেনি। এবার কোহলি বললেন, বোর্ডের পক্ষ থেকে এমন কোনো অনুরোধ তাঁকে করা হয়নি। এছাড়া সৌরভ দাবি করেন, কোহলির সঙ্গে কথা বলেই নাকি তাকে ওয়ানডের নেতৃত্ব থেকে সরানো হয়েছে। কোহলি প্রকাশ্য সংবাদ সম্মেলনে এই দাবিও অস্বীকার করেন। তিনি বলেন আমার সাথে এমন কোন আলোচনা হয়নি বরং দেড় ঘন্টা আগে ফোন করে জানানো হয় আমাকে ওয়ানডে অধিনায়ক পদ থেকে সরানো হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে আরও পিছিয়ে পড়লেন কোহলি, শীর্ষস্থানে অজি ব্যাটসম্যান লাবুসেন
কীর্তি আজাদ মনে করেন, এই বিষয়টা আরও ভালোভাবে ব্যাপারটা সামলানো উচিত ছিল। এটা নিয়ে বাইরে খবর আসা এবং কাদা ছোড়াছুড়ি হওয়া ঠিক হয়নি। তার ভাষায়, ‘সৌরভের মতো একজন সাবেক অধিনায়ক শীর্ষপদে থাকায় ক্রিকেটীয় ব্যাপারে আরও বেশি পেশাদারিত্ব দেখানো উচিত ছিল। বিশেষত সাবেক একজন অধিনায়কও (আজহারউদ্দিন) এ ব্যাপারে টুইট করেছিলেন। এতেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। এভাবে পুরো ব্যাপারটা জনসমক্ষে আনা উচিত হয়নি।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584