নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
বাংলা টেলিভিশনে এই মুহূর্তে সবথেকে বেশি নজর কাড়ছে যাদের প্রেম তারা হল ‘দেশের মাটি’ ধারাবাহিকের রাজা এবং মাম্পি। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এই ধারাবাহিকের লিড রোল এদের নয়। পার্শ্বচরিত্রে আছে রাজা ও মাম্পি থুড়ি রাহুল এবং রুকমা।
মজাটা এখানেই। লীনা গঙ্গোপাধ্যায় কোনও চরিত্রকেই শুধু শুধু দাঁড় করিয়ে রাখেন না। সবার জীবনেরই একটা না একটা ঘটনা প্রতিষ্ঠা করে গল্প, চিত্রনাট্য লেখেন তিনি। ঠিক যেমন রাজা-মাম্পির প্রেমে আজকাল চোখ ভাসাচ্ছে টেলিদর্শক। তাদের প্রেম এই মুহূর্তে দর্শকের কাছে সবথেকে প্রিয় তা সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই জানা যায়।
ধারাবাহিকের আসল নায়ক নায়িকা নোয়া-কিয়ান। তাদের প্রেম নিয়ে এতটা উত্তাল হয়নি সোশ্যাল মিডিয়া। কিন্তু রাজা-মাম্পির ভালোবাসাটা সফল হতেই হবে- এই তাদের দাবি।মাম্পি সেই কিশোরীবেলা থেকে ভালোবাসে দাদানের আশ্রিত ডাঃ রাজরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় অর্থাৎ রাজাকে। কিন্তু রাজা একটা দূরত্ব বজায় রেখে চলেছে সবসময়। কেননা মাম্পির সঙ্গে তার জীবন মেলে না বলে মনে করে সে। যাদের নুন খেয়েছে মাত্র ৬ বছর বয়স থেকে, তাদের বাড়ির মেয়ের কাছাকাছি আসার সাহস সে দেখায় না। কিন্তু মনে মনে ভালোবাসে সে মাম্পিকে।
মাম্পিকে বারবার প্রত্যাখ্যান করে সে। এর জেরে মাম্পিও হয়ে ওঠে বেপরোয়া। সে নানাভাবে রাজাকে আঘাত করতে থাকে। রাজাকে কাছে না পাওয়ার যন্ত্রণায় সে দুমড়ে মুচড়ে শেষ হয়ে যায়। এরপর একদিন রাজাও সব বাধাকে পিছনে ফেলে নিজেকে সমর্পণ করে মাম্পির কাছে। চকিতে চমকে ওঠে মাম্পি। ঘনিষ্ঠ হয় রাজার। আর তা দেখে ফেলে মাম্পির মা মৌসুমী। এরপর রাজাকে মাম্পির জীবন থেকে সরে যেতে বলে মৌসুমী, মাম্পির বাবা, মেঝ জেঠু এবং মেঝ মা। রাজা ওদের প্রতি কৃতজ্ঞতার বশে কথা দেয় ও মাম্পির পথ থেকে সরে যাবে। মাম্পিকেও সেই মতো বোঝায় সে।
মাম্পিকে দূরে সরাতে রাজা মিথ্যে এক প্রেমের গল্প ফাঁদে। মাম্পি অবশ্য বুদ্ধিমতী। সে বুঝে ফেলে রাজার এই পরিবর্তনের পিছনে ওর বাবা-মায়ের হাত আছে। তবু রাজার বারংবার একই মিথ্যে প্রেমের গল্পে সে কেঁদে ভাসায়। তার মতে, রাজা তাকে ছাড়া কারোকে ভালোবাসতে পারে না। দিনকয়েক ধরে রাজা-মাম্পির প্রেমের রসায়ণে জমজমাট স্টার জলসার সন্ধে সাড়ে ৬ টার স্লট।
তাদের প্রেমের পরিণতি দেখতেই আজ মরিয়া দর্শক।ওদিকে শ্রমণজিত বিদেশ থেকে মেয়েকে নিয়ে ফিরেছে। ভুল স্বীকার করতে চায় বউরানির কাছে। নোয়া দায়িত্ব নেয় বউরানি আর বড়জেঠুর মধ্যে সব দূরত্ব ঘুচিয়ে দেওয়ার। এটা তার চ্যালেঞ্জ। নোয়া কি পারবে এই অসাধ্য সাধন করতে? এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে গল্পের নায়িকা নোয়া। চ্যালেঞ্জের মুখে বরাবরই পড়ে গল্পের নায়িকারা। এখানেও অন্যথা হল না। তবে, চ্যালেঞ্জটা একেবারে অন্যরকম। বাকিটা সময় বলবে।’দেশের মাটি’ দেখুন প্রতিদিন সন্ধে সাড়ে ৬ টায়, স্টার জলসায়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584