নবনীতা দত্তগুপ্ত, বিনোদন ডেস্কঃ
“হায় হায় সাত পাকে বাঁধা পোড়ো না, এক দুটো পাক কম থাকলে মন্দ হবে না”… পটকার গলায় এই গানে নাচছে বাবিন-গুনগুনের বিয়ের বরযাত্রী। শুধু কি বরযাত্রী? শামিল তো কনেপক্ষও। আর শুধু কি কনেপক্ষ? কনে গুনগুনও তো শামিল সেখানে। সেও তো কোমর দোলাতে ব্যস্ত পটকার দলের সঙ্গে।
বিয়ের দিন কোথায় সে লজ্জাবতী লতা হয়ে বসে থাকবে পটের বিবি হয়ে, তা না ধামাকা দেখিয়ে দিল! “আমার বর আমি দেখব, কই দেখি দেখি কোথায় বর?”– এই বুলি আওড়াতে আওড়াতে সে হাজির বর দেখতে। সবাই তখন বর দেখবে কি? কনের কাণ্ডকারখানা দেখতেই ব্যস্ত৷ শুধু কি তাই? ছেলের বিয়ের বাসর ঘরে বেসুরো গলায় গান ধরে শ্বশুর ভজন। তার সঙ্গে বেসুরো গলা মেলায় তার আদরের বৌমা গুনগুন।
সব মিলিয়ে ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকে বিয়ে জমজমাট। এহেন বিয়ে রিল এবং রিয়েল কোনওখানেই দেখেনি দর্শক।
লীনা গঙ্গোপাধ্যায় যেমন একই মানুষের একাধিক বিয়ে দেখিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে পারেন, তেমনি তিনি খড়কুটোর মতো গল্প লিখে মানুষের মন মজিয়ে হাসাতেও পারেন তা প্রমাণ করে দিলেন। জনৈক ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় তো লিখেই ফেললেন এরকম কথা– ” ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে খড়কুটোর সম্প্রচার অবিলম্বে বন্ধ করা হোক। কারণ এটা দেখার পর বাকিগুলো ম্যাড়মেড়ে লাগে।”…
বলাবাহুল্য, লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা গল্পনির্ভর মেগা সিরিয়ালে একাধিক বিয়ের দৃশ্য দেখে সমালোচনায় ফেটে পড়লেও সেই ধারাবাহিকটিই তারা আবার উপভোগ করে তারিয়ে তারিয়ে। আর সেখানেই সাফল্য লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের।একটা কথা বলতেই হয়, করোনা আবহে সময়ের কাজ সময়ে সেরে ফেলা কিংবা স্বল্প জনসমাবেশে আনন্দের শরিক হতে পারলেও মনে তেমন আনন্দ নেই অধিকাংশের।
সারা দিনের ঝক্কি সামলে মানুষ যখন আয়েস করে টিভির সামনে বসে তখন কি সে আর অন্যের সমস্যা দেখতে বা জানতে চায়? তার নিজের জীবনেও তো সমস্যার অন্ত নেই। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা ‘খড়কুটো’ মানুষের মন ছুঁয়ে যাচ্ছে। যুগোপযোগী বলা যায় ধারাবাহিকটিকে। এই কঠিন সময়ে দাঁড়িয়ে মানুষ হাসির রসদ খুঁজছে।
আরও পড়ুনঃ টিভির পর্দায় ফের ‘রূপকথা’র উপাখ্যান
মিলছে না কোনওখানে। তাই সাধুবাদ জানাতেই হয় কাহিনিকার, চিত্রনাট্যকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায়কে।
দর্শক প্রাণ দিয়ে ভালোবাসছে গুনগুন, বাবিন, পটকা, পুটু পিসি, চিনি, মিষ্টি, ঋজু, রূপাঞ্জন সহ বাকিদের।
আরও পড়ুনঃ মাটির গানে মন ভরাতে আসছে ‘গঙ্গারাম’
অনেকে তো আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে আর্জিও জানিয়েছে যে দুই জা মিষ্টি আর গুনগুনের সম্পর্ক যেন এমনই থাকে শেষদিন অবধি। মোদ্দাকথা, সোম থেকে রবি সন্ধে সাড়ে ৭ টা থেকে রাত ৮ টা দর্শক একেবারে সেঁটে থাকছে সৌজন্য মুখার্জিদের পরিবারে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584