নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
ব্যাংককের অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসে মহিলাদের বাথরুমে পাওয়া যায় একাধিক স্পাই ক্যামেরা, এই গোপন ক্যামেরা রাখার অভিযোগে থাইল্যান্ড পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে দূতাবাসেরই এক প্রাক্তন কর্মীকে। হঠাৎ করেই গত মাসে দূতাবাসের মহিলাদের শৌচালয়ে একটি এসডি কার্ড পড়ে থাকতে দেখা যায়। তা থেকেই সন্দেহ হওয়ায় তদন্ত শুরু করে থাইল্যান্ড পুলিশ।
এএফপি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা ও বৈদেশিক মন্ত্রকের এক নীতি বিশেষজ্ঞ বলেন, এই ঘটনা নিরাপত্তা লঙ্ঘনের একটি গুরুতর উদাহরণ। ক্যানবেরার এক আধিকারিক শনিবার বলেন, মহিলাদের বাথরুমে একাধিক স্পাই ক্যামেরা পাওয়ার পরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং এই ঘটনায় এক প্রাক্তন কর্মী ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছেন।
রয়্যাল থাই পুলিশের বৈদেশিক দপ্তরের কমান্ডার খেমারিন হাসিরি জানান, অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং তদন্ত এখনো চলছে। তবে ক্যামেরাগুলি কতক্ষণ বাথরুমে ছিল সে বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুনঃ ফ্রান্সের আটলান্টিক উপকূলীয় অঞ্চলে লাখো মৃত মাছের ভাগাড়! চাঞ্চল্য
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের এমেরিটাস প্রফেসর হিউ হোয়াইট প্রশ্ন তুলেছেন দূতাবাসের নিরাপত্তা নিয়েও। তিনি বলেন, “দূতাবাসের মত একটি সুরক্ষিত এলাকার মধ্যে ক্যামেরাগুলি ইনস্টল করতে যে সময় অপরাধী পেয়েছে তা থেকে স্পষ্ট যে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট শিথিল ছিল। দূতাবাসকে সুরক্ষিত রাখার জন্য যথেষ্ট পোক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই একথা প্রমাণিত।“
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584