নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
কাগজের ঘাটতি, তাই বাতিল করে দেওয়া হল সমস্ত স্কুলের পরীক্ষা। অবিশ্বাস্য মনে হলেও ঠিক এমনটাই ঘটেছে প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায়। আগামী সোমবার থেকে শ্রীলঙ্কার পশ্চিম প্রদেশ জুড়ে শুরু হওয়ার কথা ছিল সব স্কুলের টার্ম পরীক্ষা। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে জারি হল সরকারি নির্দেশিকা যে, পরীক্ষা বাতিল।
১৯৪৮ সালে স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এই প্রথমবার ভয়াবহ আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। পরিস্থিতি এমনই যে কাগজ আমদানি করার মত পর্যাপ্ত ডলার নেই সরকারের কোষাগারে। তাই বাধ্য হয়ে বন্ধ করে দিতে হল পরীক্ষাও। কার্যত ২০১৪ সাল থেকেই আর্থিক সংকটের শুরু কলম্বোর। ক্রমাগত বাড়তে থাকা ঋণের বোঝা এবং ক্রমশ নিম্নমুখী জিডিপি এই জোড়া ফলার ধাক্কা সামলাতে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা হয় সরকারের। ২০১৯ সালে একেবারে মুখ থুবড়ে পড়ে শ্রীলঙ্কার জিডিপি, পৌঁছে যায় ৪২.৮ শতাংশে। একদিকে চীনের কাছে বিপুল দেনা এবং তার সঙ্গে বাড়তে থাকা মুদ্রাস্ফীতির হার। এর ফলে দেউলিয়া হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে শ্রীলঙ্কা।
তার ওপরে রাজাপক্ষে সরকারকে চলতি বছরে ৭.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেনা শোধ করতে হবে। অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চরম ঘাটতি, ফলত দেশটির অর্থনৈতিক সঙ্কট পৌঁছেছে চরমে। শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতার পর থেকে এমন পরিস্থিতি কখনো আসেনি বলেই মত অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের। ঘাটতি দেখা দিয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জোগানেও। খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধপত্রের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যাপক ঘাটতির ফলে তৈরি হয়েছে। শ্রীলঙ্কা চলতি সপ্তাহে জানিয়েছিল আর্থিক সংকট মেটাতে আইএমএফের দ্বারস্থ হবে তারা।
আরও পড়ুনঃ ৭ দিনের ব্যবধানে ফের খুন পানিহাটিতে, আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে আতংকে সাধারণ মানুষ
প্রতিবেশী দেশের এই সংকটে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। শ্রীলঙ্কাকে একশো কোটি ডলারের ঋণের সুবিধা দিতে চলেছে কেন্দ্র। এই কারণে ভারত সফরে এসেছেন শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপক্ষে। এই অর্থে আপাতত দেশের খাদ্যভাণ্ডার ও ওষুধপত্রের সরবরাহ পর্যাপ্ত রাখতে চাইছে শ্রীলঙ্কা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584