নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
চরম আর্থিক সংকটে শ্রীলঙ্কা। বিক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ, বিক্ষোভের ঢেউ আছড়ে পড়ে প্রেসিডেন্টের বাসভবনের কাছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে রাজাপক্ষে সরকার। দেশের পরিস্থিতি এমনই স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে পরীক্ষা কারণ কাগজ আমদানি করার বা কেনার টাকা নেই সরকারের। যদিও মঙ্গলবার রাত থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে কারফিউ।
কিন্তু দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার এমন হাল কেন হল? অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন দেশটির বিদেশি মুদ্রা আয়ের সব থেকে বড় রাস্তা ছিল পর্যটন। করোনা অতিমারির জন্য তা কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আরো বড় কারণ চীনের প্রায় বিকিয়ে গিয়েছে দেশ। ঋণে জর্জরিত হয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা। সেজন্য সরকারের ভুল নীতিকেই দায়ী করছেন তাঁরা। নিজের দেশ সচল রাখতে অন্য দেশ থেকে ধার করে। ফলে শ্রীলঙ্কা এখন ঋণে জর্জরিত। মানুষের হাতে টাকা নেই। এ দিকে বাজার অগ্নিমূল্য। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এ ভাবে চললে আর কিছু দিন পর দেশে দুর্ভিক্ষ অনিবার্য।
আরও পড়ুনঃ হাজিরার বদলে হাসপাতালে, সিবিআই দপ্তর নয় এসএসকেএম হাসপাতালে ‘অসুস্থ’ অনুব্রত
চিনের কাছে বিকয়ে গিয়েই সর্বনাশ হয়েছে শ্রীলঙ্কার! ভারতের দক্ষিণের প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্রের আর্থিক সঙ্কট প্রসঙ্গে এ বার ঝাঁঝিয়ে উঠলেন সে দেশের খাবার ব্যবসায়ীরা। শ্রীলঙ্কার রাজাপক্ষে সরকারের বিরুদ্ধে তাঁদের অভিযোগ, এই সরকার শুধু চিনের কাছে যথাসর্বস্ব বিক্রিই করে দেয়নি, অন্যান্য দেশের থেকেও সব কিছু দেনায় কিনেছে। শ্রীলঙ্কায় শুধু আর্থিক সংকটের পাশাপাশি চলছে রাজনৈতিক সঙ্কট। সোমবারই দেশের মন্ত্রিসভার সমস্ত মন্ত্রী ইস্তফা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের অপসারণের দাবি জোরালো হয়েছে। নতুন সরকার তৈরির ভিতও বেশ দুর্বল। এরই মাঝে আজ ইস্তফা দিলেন নতুন অর্থমন্ত্রীও।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584