নিজস্ব প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
চোখে দেখতে পান না, কিন্তু গানের টানে আজও অন্যের হাত ধরে এগ্রাম থেকে ওগ্রাম গান শোনাতে বেড়িয়ে পড়েন গোয়ালতোড়ের খাপরিভাঙ্গা গ্রামের সত্তোরত্তর শ্রীমতি সরেন।শাড়পা নাচের তালে তালে কোমর দোলান,গানের সুরে গলা মেলান।শ্রীমতির আজ থেকে বছর দশেক আগে বার্দ্ধক্য জনিত কারনে দুটি চোখেই নষ্ট হয়ে যায়। চোখ হারালেও তার শাড়পার প্রতি শখ, আহ্লাদ, ভালবাসা কেড়ে নিতে পারেনি। তাই তো তিনি চোখ হারিয়েও অন্যের হাত ধরে এ গ্রাম থেকে ও গ্রাম এখনো শাড়পা নাচ করতে বেরান অন্যের মনোরঞ্জনের জন্য।
সংসার চালান কষ্টেসৃষ্টে।কোনোরকম সরকারি ভাতা পান নি এই মহিলা শিল্পী। আক্ষেপ সরকার শিল্পী ভাতা চালু করলেও তা থেকে তারা বাঞ্চিত। তবে তিনি নিজের জন্য কিছু দাবী করেন নি সরকারের কাছে।তার দাবী তাদের এই গান বাজনা করার জন্য কিছু বাদ্য যন্ত্রের ব্যবস্থা করে দিক সরকার, যাতে করে পুর্বপুরুষ দের যে ঐতিহ্য সেই ঐতিহ্য বজায় রেখেই গান বাজনা করতে পারে যতদিন বাঁচবেন। তিনি শুধু একা নান, এই গ্রামে হত দরিদ্র আদিবাসী গোটা কুড়িক ঘর আছে প্রত্যেকেই সরাদিন কাজের শেষে শাল জঙ্গলে ঘেরা খাপরিভাঙ্গাতে মাদলের বোল তুলে। দারিদ্রতা কে হার মানিয়ে মেতে উঠেন আনন্দে।লাল পাড় সাদা শাড়ি নতুবা হলুদ পাড় সবুজ শাড়ি, খোঁপায় বুনো ফুলের মালা,কেউবা ময়ুর পালক নিয়ে কাঁসার থালা আর বাটির বাদ্যযন্ত্রের তালে দেহেলে দেহেলে সুর অনুরনন ঘটে পুরো জঙ্গল মহল জুড়ে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584