স্তূপীকৃত আর্বজনায় রায়গঞ্জে দূষণ ছড়াচ্ছে

0
51

নিজস্ব সংবাদদাতা,উত্তর দিনাজপুরঃ

উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরের রাজপথ থেকে পাড়ার অলিগলি নির্দিষ্ট কিছু কিছু জায়গায় নোংরা আবর্জনা ফেলে রাখছে রায়গঞ্জ পুরসভার সাফাইকর্মীরা। আর সেই নোংরা আবর্জনা থেকে শহরে ছড়াচ্ছে দুষন। রায়গঞ্জ শহরের এই পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে এবার উদ্যোগী হল পুরকর্তৃপক্ষ। রায়গঞ্জ শহরের রাজপথ থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে স্থায়ী ভ্যাট তৈরি করতে চলেছে রায়গঞ্জ পুরসভা। ইতিমধ্যেই শহরের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৈরি করে ফেলেছে স্থায়ী ভ্যাট। শুধু ভ্যাট তৈরির নয় চারিদিক ঘেরা স্থায়ী ভ্যাটে সবুজায়ন করে সৌন্দর্যময় করে তুলছে পুরসভা।রায়গঞ্জ পুরএলাকার ২৭ টি ওয়ার্ডসহ শহরের বিভিন্ন দোকান হাট বাজারের  আবর্জনা সংগ্রহ করে বিধাননগর, মিলনপাড়া, রমেন্দ্রপল্লী, উকিলপাড়া, দেবীনগর, কাঞ্চনপল্লী, তুলসীতলা, বন্দরসহ বিভিন্ন এলাকায় জমা করে রাখে। ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে রাস্তার ধারে পরে থাকা আবর্জনা জমে থাকায় দুর্গন্ধ ছড়ানোর পাশাপাশি দূষন হয়ে পরছে গোটা এলাকা। গবাদি পশু কুকুর বিড়াল মুখে করে নিয়ে আবর্জনাগুলো ছড়াচ্ছে এলাকায়। কয়েক ঘন্টা ওখানে পরে তথাকার পর তা সাফাইকর্মীরা নিয়ে ফেলছেন বন্দর শ্মশানঘাট এলাকার ভাগাড়ে। কিন্তু এতে দূষনের সমস্যার সমাধান হচ্ছেনা।

নিজস্ব চিত্র।

দীর্ঘদিনের রায়গঞ্জ পুরসভায় কোনও স্থায়ী ভ্যাট না থাকায় এতদিন পর্যন্ত এসব জায়গাতেই পরে থাকত আবর্জনা। রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, এক বছর আগে এই পুরসভার দখল নিয়েছে তৃনমূল কংগ্রেস। ক্ষমতায় এসেই আমরা শহর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়ে নজর দিয়েছি। পুরসভার নগরন্নয়ন পরিকল্পনা খাতের টাকায় রায়গঞ্জ পুর এলাকায় শহরের রাজপথের ধারে এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে তৈরি করা হচ্ছে স্থায়ী ভ্যাট। এই স্থায়ী ভ্যাটগুলি এমনভাবে নির্মান করা হবে যাতে কোনওভাবেই শহরে দূষণ না ছড়ায়। সম্পূর্ণ ঢাকনা ও গেট দিয়ে আটকানো এই স্থায়ী ভ্যাটে কোনও গবাদি পশু বা কুকুর বিড়াল প্রবেশ করতে পারবেনা। ভ্যাটের চারিদিকে সবুজায়ন করে এবং আলোকবাতি দিয়ে সাজিয়ে সৌন্দর্যরূপ দেওয়া হবে বলে জানা রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here