নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বাবা স্ট্যানলি জনসন ফ্রান্সের নাগরিকত্ব চেয়ে আবেদন জানান। গতকাল তিনি জানান, ব্রেক্সিটের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে তিনি ফ্রান্সের পাসপোর্টের আবেদন করার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
ইউকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে (ব্রেক্সিট) যায়। স্ট্যানলি জনসন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রাক্তন সদস্য। ২০১৬ সালের গণভোটে ইইউ জোটে থাকার পক্ষে ছিলেন।ফ্রান্সের আরটিএল রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রীর বাবা ৮০ বছর বয়সী স্ট্যানলি জনসন বলেন, তিনি ফ্রান্সের নাগরিক হতে চান,কারণ, ফ্রান্সের সঙ্গে তাঁর গভীর পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে পারমানবিক স্থাপনার তালিকা বিনিময়
স্ট্যানলি এই সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি যদি ঠিকঠাকভাবে সব বুঝে থাকি, তবে আমি ফ্রান্সের নাগরিক।“ স্ট্যানলি আরও বলেন যে, “তাঁর মা ফ্রান্সে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর মাতামহী সম্পূর্ণ ভাবে ফ্রান্সের নাগরিক ছিলেন। তাঁর মাতামহ ও ফ্রান্সের নাগরিক ছিলেন। সেই সূত্রে তিনিও ফ্রান্সের নাগরিক, তাই সেই নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়ারই দাবি জানিয়েছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন যে এতেই তিনি সুখী।
স্ট্যানলি বলেন, “আমি সর্বদা ইউরোপীয় থাকব। এটি নিশ্চিত। কেউ আমাকে বলতে পারবে না, তুমি শুধুই ব্রিটিশ, ইউরোপীয় নও। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ।“
আরও পড়ুনঃ এইচ-১বি ভিসায় নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা বৃদ্ধি ট্রাম্প প্রশাসনের
স্ট্যানলি পুত্র প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন অবশ্য ২০১৬ সালের গণভোটে ব্রেক্সিটপন্থী হিসেবেই বেশি পরিচিত ছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, “মাত্রাতিরিক্ত আমলাতান্ত্রিক ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে পুরোপুরি স্বাধীন দেশ হিসেবে ইউকে আরও শক্তিশালী হবে ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে।“
যদিও ইইউর সঙ্গে নতুন বাণিজ্য চুক্তি পার্লামেন্টে অনুমোদনের পর প্রধানমন্ত্রী বরিস সমঝোতার রাস্তায় গিয়ে বলেন, “ইউরোপীয় দেশ হিসেবে ব্রিটেনের এটাই শেষ নয়। আমরা ইউরোপীয় সভ্যতার অংশ এবং তাইই থাকব।“প্রায় ৪৮ বছর ধরে একসঙ্গে চলার পর গত বৃহস্পতিবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ থেকে বেরিয়ে যায় ইউকে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584