সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
বন্দুক চালানোর পরেই শুরু সন্ধিপুজো। পূর্ব বর্ধমান জেলায় গুসকরা। এই গুসকরাতেই রয়েছে চোঙদার বাড়ি। ইতিহাস সূত্রে জানা যায়, তাঁদের আবির্ভাব হয়েছিল মূলত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে সাহায্য করার জন্য। পরে ধীরে ধীরে তাঁরাই হয়ে উঠলেন ওই এলাকার অধীশ্বর। সেই জমিদারি আর নেই তবু রয়েছে জমিদারি ঐতিহ্যের পরম্পরা। রয়েছে বিশাল দূর্গা মন্ডপ। রয়েছে অতীতের জাঁকজমক করে দুর্গাপুজোর আয়োজনের চিহ্ন। গুসকরার প্রাচীন মানুষেরা বলেন, আগে হাতে গোনা কয়েকটি দুর্গাপুজো এখানে হত। তার মধ্যে সবথেকে বেশি জাঁকজমকপূর্ন ছিল চোংদারদের এই জমিদার বাড়ির পুজো।
এই পুজোয় কয়েকটি বিশেষত্ব রয়েছে। যেমন প্রথমতঃ অন্যান্য জায়গায় পুজোর শেষে ঘট বিসর্জন করে দেওয়ার রীতি কিন্তু এই রীতি একেবারেই আলাদা এখানে। দশমীতে ঘট বিসর্জন করা হয় না, তা প্রতিষ্ঠা করা হয়। আর সেই ঘট থাকে এক বছর। পরের বছর ষষ্ঠীর দিন ঘট বিসর্জন করা হয় অর্থাৎ চোংদারদের দুর্গা পুজো শুরু হয় ঘট বিসর্জন করে। তাছাড়া নবমীর দিন কুমারী পূজা এখনো তা আয়োজন করেন চোংদার পরিবার এবং তা নিয়ে এলাকার মানুষদের উৎসাহেরও অন্ত থাকে না। ব্যাপক ভিড় হয়। আগে দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গা থেকে নিয়ে আসা হত যাত্রাদল কিন্তু পরবর্তীকালে এই সমস্ত রীতি গুলি উঠে যেতে থাকে। বর্তমানে গুসকরা অঞ্চলে একাধিক দুর্গাপুজো হলেও ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ জমিদারদের দুর্গাপুজো মানুষকে আজও আগের মতোই আকর্ষণ করে চলেছে।
আরও পড়ুনঃ দুর্গোৎসব উপলক্ষে বস্ত্রবিতরণ
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584