বিজেমূল স্লোগানেই কি ভরাডুবি! সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের ঐতিহাসিক ভুল স্বীকার সূর্যকান্তের

0
52

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ

ভোটে ভরাডুবির বড় কারণ ‘বিজেমূল’ স্লোগান, সরাসরি স্বীকার করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। এর আগে ভোটের ফল পর্যালোচনার খসড়া রিপোর্টে সিপিএম কার্যত মেনে নিয়েছিল বিজেপি-বিরোধিতায় ঘাটতি ছিল। এ বার দলের রাজ্য সম্পাদকের ভুল স্বীকারের তালিকায় যোগ হলো করে ‘বিজেমূল’ শব্দের বহুল ব্যবহার।

Suryakanta Mishra
সূর্যকান্ত মিশ্র। ফাইল চিত্র

বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বোঝাপড়া প্রমাণের উদ্দেশ্যে সভা-সমাবেশে এমন কিছু শব্দ ও স্লোগান সিপিএমের বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্বের মুখে শোনা গিয়েছিল, যার সঙ্গে বাস্তব পরিস্থিতির যোগ নেই। উল্টে, ওই ধরনের প্রচার সাধারণ মানুষের মনে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। পাশাপাশি সূর্যকান্ত মিশ্র স্বীকার করে নিয়েছেন প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতা করতে গিয়ে রাজ্য সরকারের জনকল্যাণ মূলক কর্মসূচিগুলিকে ছোট করে দেখিয়েও ভুল করেছেন তাঁরা।

রাজ্যের পরিষদীয় রাজনীতিতে এই প্রথম বার বামশূন্য বিধানসভা। তারপর থেকেই বামদলগুলির বিপর্যয়ের ময়না-তদন্ত চলছে। নির্বাচনোত্তর সময়ে দলের কর্তব্য কি এই বিষয়ে বুধবার সন্ধ্যায় সিপিএম কর্মীদের উদ্দেশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি বক্তৃতা দিয়েছেন সূর্যবাবু। সেখানেই উঠে এসেছে সিপিএমের একগুচ্ছ ঐতিহাসিক ভুলের স্বীকারোক্তি।

বক্তৃতায় সূর্যবাবু বলেন দেশের সার্বিক পরিস্থিতির বিচারে বিজেপি তাদের প্রধান শত্রু। তবে তৃণমূলের অন্যায় বা জন-বিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধেও বিরোধী দল হিসেবে সরব খাবেন তাঁরা।

আরও পড়ুনঃ স্পিকারের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগ, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস

সূর্যবাবুর ব্যাখ্যায়, ২০১৪ বা ২০১৬ সালে কেন্দ্র রাজ্য বোঝাপড়া স্পষ্ট থাকলেও, ২০১৯ সালের পর পাল্টায় পরিস্থিতি। তৃণমূল যখন বিজেপির সর্বাত্মক বিরোধিতায় সরব, সেই সময়ে বামেদের মঞ্চ থেকে পুরনো ধারণার ভিত্তিতে ‘বিজেমূল’ জাতীয় আক্রমণ মানুষ মেনে নেননি। তাতে আখেরে লাভবান হয়েছে তৃণমূলই। তবে সূর্যবাবু এও বলেন, বিজেপি এবং তৃণমূলের সব চেয়ে বড় মিল- দুই দলই আদ্যন্ত কমিউনিস্ট-বিরোধী!

আরও পড়ুনঃ নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পুরোনো ভুলে ভরা টুইটের স্ক্রিনশট পোস্ট করে ট্রোল সোশ্যাল মিডিয়ায়

ভোটে নজিরবিহীন বিপর্যয়ের পর থেকেই বিভিন্ন স্তর থেকে বহু মতামত আসছে দলের কাছে এমনকি দলের অনেক পরিচিত নেতা-কর্মীও কুৎসিত গালিগালাজ করে চিঠি দিচ্ছেন, তবে দল কিছুই অগ্রাহ্য করছে না বলেই এদিন জানান তিনি। তবে উল্লেখযোগ্য ভাবে, সূর্যকান্ত মিশ্র এদিন মেনে নিয়েছেন নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী পায়ে চোট পাওয়ার পরে সে নিয়ে কৌতুক মোটেই ভালোভাবে নেননি মানুষ।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here