করোনা আতঙ্কে পিছিয়ে গেল রাজ্যের পুরভোট

0
52

শুভম বন্দোপাধ্যায়, কলকাতাঃ

প্রাণের ভয়ের কাছে শেষ পর্যন্ত হার মানল রাজনীতিও। বিশ্ব ও দেশজুড়ে বেড়ে চলা করোনা ত্রাস গ্রাস করেছে রাজ্যকেও।

আর সেই করোনা ত্রাসে ডান-বাম সর্বদল সমর্থনে শেষ পর্যন্ত পিছিয়েই গেল রাজ্যের পুরভোট। সব কিছু ঠিকঠাক হয়ে গেলে রমজানের পর জুনের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার সর্বদল বৈঠকে ঘোষণা করে দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

election commission | newsfront.co
ছবিঃ প্রতীকী

রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস বলেন, শাসক বিরোধী সবার সঙ্গে কথা বলে আজ থেকেই সমস্ত পুরভোট প্রস্তুতি থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। জনসমাবেশ থেকে ভোটগ্রহণ কোনও জায়গাতেই মানুষের সংস্পর্শ এড়ানো সম্ভব নয়। করোনা পরিস্থিতিতে তা হবে স্বাস্থ্য বিধির পরিপন্থী।

করোনা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগে এপ্রিলে ভোট করার জন্য মত ছিল শাসকদলের, যেখানে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন প্রচার করা যাবে না, এই প্রশ্ন তুলে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।

আরও পড়ুনঃ করোনা নিয়ে গ্রামে গ্রামে সতর্কতা স্বাস্থ্য দপ্তরের

কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে প্রচার এবং ভোটগ্রহণ যে অত্যন্ত কঠিন হয়ে যাবে তা বুঝতে পারছিল শাসক-বিরোধী দু’পক্ষই। বড়-ছোট যেমন নেতাই হোন না কেন, প্রচারে বেরিয়ে মানুষের সংস্পর্শ কিছুতেই এড়ানো সম্ভব নয়।

সবদিক খতিয়ে দেখে ভোট পিছিয়ে দিতেই চাইছিল রাজ্যের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি। এ নিয়ে রবিবার রাতেই বিবৃতি জারি করে শাসকদল তৃণমূলও।

এদিন বৈঠকের আগে রাজ্যপাল অবাধ নির্বাচনের দাবি টুইটারে জানালেও বৈঠকে সকলেই নির্বাচন কমিশনের কাছে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানান। তারপরই সকলের দাবি মেনে তাতে শীলমোহর দেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস।
তবে করোনা পরিস্থিতি কেটে গেলে প্ল্যান বি তৈরি রাখছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

কমিশন সূত্রে খবর, হাওড়া ও কলকাতায় ভোট নেওয়া হবে জুনের প্রথম সপ্তাহে। বাকি ১০০টি পুরসভায় জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভোটগ্রহণ। আপাতত এই সূচিই স্থির করে রাখা হয়েছে। তাতে প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দল।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here