শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
করোনা মহামারি পরিস্থিতিতেও নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করল রাজ্য। অনলাইনে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবাকে নিয়ে যেতে অনেকদিন আগে থেকেই জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। যাতে মধ্যবর্তী দালালচক্র হটিয়ে সরকার সরাসরি রাজস্ব পায়। কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে এই পরিষেবা বুঝতে যাতে অসুবিধা না হয়, তার জন্য তাঁদের হাতের নাগালে সেই পরিষেবা পৌঁছে দিতে চালু হচ্ছে ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র।’
জানা গিয়েছে, রাজ্য বাজেটে ঘোষিত এই প্রকল্পের জন্য এবার প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে। গোটা রাজ্যে মোট ২ হাজার ৭১১টি কেন্দ্র চালু করা হবে। প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য দুই জন করে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকারি সংস্থা ‘ওয়েবেল টেকনোলজি লিমিটেড’ (ডব্লুটিএল)। সম্প্রতি সংস্থার চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় প্রত্যেক জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে এই কর্মী নিয়োগের কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ বৃদ্ধের অভিযোগে সাসপেন্ড পুর আধিকারিক
প্রসঙ্গত, গোটা প্রকল্পটি রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর। তারাই নিয়োগের বিষয়টি ডব্লুটিএলের হাতে তুলে দিয়েছে। এই সংস্থাটি বিভিন্ন সরকারি দফতরে তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত কাজের জন্য চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করে থাকে। বাংলা সহায়তা কেন্দ্রেও সেই একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।
প্রতি কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তুলতে ৯৫ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য চলতি আর্থিক বছরে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা বাজেটে করা হয়েছে।
এর মধ্যে ৯০৬টি চালু হচ্ছে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এছাড়া ৭৮টি লাইব্রেরিতেও গড়া হবে সহায়তা কেন্দ্র। তবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও লাইব্রেরির স্বাভাবিক পরিষেবা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সেদিকে নজর রাখার দাবি উঠেছে।
আরও পড়ুনঃ ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্যে শুরু হবে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ
বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে জাতিগত শংসাপত্র করানো, সরকারি বিভিন্ন ফি জমা, কন্যাশ্রী সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের জন্য অনলাইনে আবেদন করা যাবে। গ্রামীণ এলাকায় এই কেন্দ্রগুলি তৈরি করা হয়েছে। এতে বিশেষ করে গ্রামের মানুষের অনেক সুবিধা হবে বলে দাবি সরকারি আধিকারিকদের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584