ওয়েবডেস্কঃ-
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত যশোর রোডের গাছ কাটার উপর স্থগিতাদেশ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য বারাসাত থেকে পেট্রোপোল পর্যন্ত দীর্ঘ ৬১ কিলোমিটার বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত যশোর রোডে গাছ কাটার পরিকল্পনা করে রাজ্য সরকার। গাছ কাটার বিরুদ্ধে শুরু হয় আন্দোলন। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় এক মানবাধিকার সংগঠন। হাইকোর্ট প্রথমে একটি গাছ কাটার বদলে পাঁচটি গাছ লাগানোর শর্তে গাছ কাটার অনুমতি দেয়। পরবর্তীতে গত ৩১শে আগস্ট কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য ও অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায়ের উপর তিন সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দেয়।
এরপরেও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন সেই মানুষ সেই মানবাধিকার সংগঠন। আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের সওয়াল-জবাবের পর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপক গুপ্ত ও বি লোকুরের বেঞ্চ গাছ কাটার উপর স্থগিতাদেশ দেয়।
উল্লেখ্য,মুক্তিযুদ্ধের সময় এই যশোর রোড হয়ে উঠেছিল এক জীবন্ত ইতিহাস। এই রোড দিয়েই মুক্তিযোদ্ধারা পাড়ি দিয়েছিলেন। এই যশোর রোডেই মুক্তিযোদ্ধা ও শরণার্থীর ক্যাম্প গড়ে উঠেছিল। বিশ্বের তাবড় তাবড় নেতা, কবি-সাহিত্যিকের বিচরণে সেই যশোর রোড ইতিহাসে অমর।
( ছবি-সংগৃহীত)
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584