হরষিত সিংহ,মালদহঃ
শ্রেণীকক্ষের জানালা বন্ধ করতে গিয়ে সহপাঠী ছাত্রীর হাত কেটে যাওয়ায় এক ছাত্রকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধোর করার অভিযোগ উঠল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এমনি মারধোরের পর ওই ছাত্রে বিকেল পর্যন্ত বিদ্যালয়ে আটকে রাখেন অভিযুক্ত শিক্ষক বলে অভিযোগ। বাড়ী ফিরে ওই ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকেরা তাকে মালদাহ মেডিকেলে ভর্তি করায়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসা চলছে ছাত্রের। ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবী তুলেছেন অসুস্থ ছাত্রের পরিবার।
পরিবার সুত্রে জানা গিয়েছে অসুস্থ ছাত্রের নাম হায়াদ আলি(১৬)। বাবা শেখ ইব্রাহিম ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। বাড়ী মালদহ জেলার নরহাট্টা পঞ্চায়েতের সোয়েলপুর কাঠাল গ্রামে। নরহাট্টা গোপেশ্বর সাটিহার উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেনীর ছাত্র হায়াদ। প্রতিদিনের মত শুক্রবার বিদ্যালয়ে যায়।অসুস্থ ছাত্র জানায়, বিদ্যালয়ের টিফিন চলাকালীন একটি ঘরে বসে ছিল হায়াদ সহ আরো বেশ কয়েকজন। সেই সময় এক ছাত্রী হায়াদকে জানালা বন্ধ করতে বলে। জানালা বন্ধ করার সময় ওই ছাত্রীর জানালায় ছিল। সেটি লক্ষ্য না করে হায়াদ জানালা বন্ধ করলে মেয়েটির একটি আঙুল কেটে যায়।রক্ত পড়তে শুরু করলে ছাত্রী বিষয়টি এক শিক্ষকের কাছে নালিশ জানায়।
ঘটনায় হায়াদকে ডেকে পাঠায় শিক্ষক ইন্দ্রনীল । কোন কিছু শোনার আগেই ছাত্রকে লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধোড় করে। পা থেকে পিঠ সমস্ত জায়গাই মারে বলে অভিযোগ। তারপর ওই ছাত্রকে বিকেল পর্যন্ত আটকে রাখে। বাড়ী ফিরে রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকেরা তাকে মালদহ মেডিকেলে নিয়ে আসে। বর্তমানে সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবী তুলেছে পরিবারের লোকেরা। এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলা শিক্ষা মহলে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584