শ্যামল রায়, পূর্বস্থলীঃ
পূর্বস্থলী এক নম্বর ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রয়েছে ২৮০ টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। কিন্তু এর মধ্যে সরকারি বিল্ডিং তৈরি হয়েছে মাত্র ৬৫ টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে।
মঙ্গলবার ব্লকের সিডিপিও শ্রীরূপা ব্যানার্জি জানিয়েছেন যে ১০৩ টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চলে বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ সরকারি বিল্ডিং এ। এছাড়াও ৮০টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চলে বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লাব এবং বিভিন্ন বাড়ির বারান্দায়।
আরও পড়ুনঃ কুখ্যাত ছোটা রাজন এবং মুন্না বজরঙ্গির নামে ডাকটিকিট! তদন্তে ডাকবিভাগ
প্রশ্ন উঠেছে এখনো ব্লকের বিভিন্ন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে সরকারি বিল্ডিং তৈরি হয়নি কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে শ্রীরুপা ব্যানার্জি জানিয়েছেন, “সবথেকে বড় সমস্যা, সরকারি জমি পাওয়া এবং মানুষের দান করা জমি পাওয়া যাচ্ছে না বলে এখনো আমরা সরকারি বিল্ডিং তৈরি করতে পারছিনা। আর্থিক সমস্যা নেই কিন্তু আমরা জমির অভাবে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরি করতে না পারায় সমস্যা রয়েছে।”
মঙ্গলবার ব্লকের দোগাছিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পরানপুর গ্রামে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরির কাজ চলছে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কাজ কিভাবে এগোচ্ছে সরেজমিনে দেখতে আরআইডিএফ বিভাগের আধিকারিক পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। কাজ জোরকদমে চলছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মন্দিরের ভিত পুজোয় বিপুল পরিমান দুধ-দই-ঘি ঢালা হল মাটিতে
এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরি করতে ব্যয় হবে ১৪ লক্ষ ৪৮হাজার টাকা। এছাড়াও ক্যাপিটাল ফান্ডে তৈরি হচ্ছে এফপি বিদ্যালয়ে দুইটি ক্লাসরুম, যার কাজ চলছে জোড় কদমে। এর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ লক্ষ ১৮ হাজার ৮০০ টাকা।
বিডিও দেবব্রত জানা জানিয়েছেন যে কাজ যেভাবে চলছে তাতে দ্রুত এই দুটি কাজ শেষ হবে এছাড়াও ২৬টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের টেন্ডার শেষ হয়েছে। কাজ চলছে জোর গতিতে। বাকি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র গুলির নিজস্ব বিল্ডিং কবে তৈরি হবে এখনো বিষয়টি পরিষ্কার নয়।
তবে জমি পেলে দ্রুত কাজ শেষ হবে বলে জানা গিয়েছে। সিডিপিও শ্রীরুপা ব্যানার্জি জানিয়েছেন যে,”করোনা পরিস্থিতিতে একটু সমস্যা তৈরি হয়েছিল! বর্তমানে সমস্যা নেই। তবে আমরা চেষ্টা করছি, জমি যাতে পাওয়া যায়, তার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584