মোহনা বিশ্বাস,ওয়েব ডেস্কঃ
এমফিল ও পিএইচডি-র কোর্স ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত ৩০ জুন বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন এসএফআই-এর ছাত্রছাত্রীরা। ওই দিন পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে রীতিমতো বচসায় জড়িয়ে পড়েছিল তাঁরা।
তাঁদের অভিযোগ ছিল, হঠাৎ করেই কোর্স ফি ২৮ গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর আগেও একাধিকবার ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিশ্বভারতীতে লাগাতার আন্দোলন করেছে বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা। শনিবার ফের এমফিল ও পিএইচডি-র ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠল ঐতিহ্যবাহী বিশ্বভারতী ক্যাম্পাস। এদিন আবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভে শামিল হল এসএফআই-এর সদস্য ও সমর্থকরা।
তাঁদের অভিযোগ, করোনা আবহে যেখানে আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে, সেখানে বহু গুণ কোর্স ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এমফিল ও পিএইচডি কোর্স ফি ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। পরে অবশ্য ৩০০টাকা কমিয়ে ১১০০ টাকা করা হয়েছে। হঠাৎ করে কোর্স ফি এত গুণ বৃদ্ধি করা হল কেন? এরই প্রতিবাদে এদিন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখায় এসএফআই সমর্থক পড়ুয়ারা। আগেও একাধিকবার ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিশ্বভারতীতে লাগাতার আন্দোলন করেছেন পড়ুয়ারা। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ঘেরাও করেও আন্দোলন হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সুদীপ্ত সেনের চিঠি টুইট করে শুভেন্দুর গ্রেফতারি চায় কুণাল
বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, গত বছর করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে শুধু মাত্র ৫০ টাকা কোর্স ফি নেওয়া হয়েছিল। সেই কারণেই এবার কোর্স ফি আগের মত ১৪০০ টাকা নেওয়া হবে বলেই ঠিক ছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ছাত্রছাত্রীরা কোর্স ফি কমানোর আবেদন করায় টাকার পরিমান কমিয়ে ১১০০ টাকা করা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কিছুই জাানাননি বিশ্বভারতীর মুখপাত্র অনির্বাণ সরকার।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584