স্বাধীনতা দিবসের উৎসবে সাজছে তাম্রলিপ্ত শহর

0
55

নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুরঃ

আগামী শনিবার ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবস। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তাম্রলিপ্ত মানে সংগ্রামের নানা ইতিহাস বিজড়িত অবিভক্ত তাম্রলিপ্ত মহকুমা।

২০০৫ সালে হেরিটেজ কমিটির চেয়ারপার্সন প্রতাপ চন্দ্র নিমতৌড়ী সভায় এসে বলেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের প্রতিটি পরিবারই হেরিটেজের এক ইতিহাস।

students | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

স্বাধীনতা আন্দোলনে অহিংস আন্দোলনের দানা বেঁধে ছিল এই তাম্রলিপ্ত শহরে, শুধু তাই নয় দাবানলের মতন প্রতিবাদী আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল অবিভক্ত তাম্রলিপ্তের কোনায় কোনায়। সত্যাগ্রহ, ১৯৪২ এর ভারতছাড়ো আন্দোলন, থানা দখল, তাম্রলিপ্ত স্বাধীন সরকার গঠন এসবই তাম্রলিপ্ত স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরবগাঁথা ইতিহাস। ১৯৪২ র থানা দখলে রক্তে ভেসে গিয়েছিল তাম্রলিপ্তের মাটি।

এই বীরোচিত সংগ্রামের ইতিহাসে গোটা দেশবাসী সহ তাম্রলিপ্তের অধিবাসীরা আজ গর্বিত। তাই স্বাধীনতা দিবস পালন তাম্রলিপ্তবাসীর কাছে মহান পবিত্র দিন হিসাবে প্রচলিত। একদিকে দেশবাসীর সঙ্গে স্বাধীনতার আনন্দে আত্মহারা আবার অন্যদিকে স্বাধীনতা সংগ্রামে স্বজন হারানোর বেদনা।

আরও পড়ুনঃ স্বাধীনতা দিবসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক পুরস্কৃত করবে রাজ্যের ৭ পুলিশ আধিকারিককে

১৫ই আগস্ট দেশমাতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির দিন। প্রতি বছরই নিমতৌড়ী তমলুক উন্নয়ন সমিতি এই দিনটি স্মরণ করে নানান আঙ্গিকে পালন করে থাকে। জাতীয় পতাকায় সাজানো, পতাকা উত্তোলন, শহীদ মাতঙ্গিনী হাজরার আবক্ষমূর্তিতে মাল্যদান, প্রভাত ফেরী, কুচকাওয়াজ, জাতীয়তাবাদী সংগীত আলেখ্য সকাল থেকেই কান্না চাপা উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠা, কত শহীদের রক্তে ভেসে যাওয়া তাম্রলিপ্তের এই পবিত্র মাটিকে শ্রদ্ধা জানাতে।

হোম ক্যাম্পাসের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাধীনতার আনন্দে মেতে উঠতে সপ্তাহ ধরে অনুশীলন চলছে। সমবেত জাতীয়তাবাদী সংগীত, নৃত্য, নৃত্যালেখ্য, কবিতা, আবৃত্তি ও দৃশ্যায়নে মহড়া চলছে দিনভর। সেই মহড়ায় সাজানো-গোছানো সবই করে নিমতৌড়ী হোমের আবাসিক দিব্যাঙ্গরা, আবাসিক কর্মী, স্বেচ্ছাসেবী সবাই মিলেমিশে।

আরও পড়ুনঃ বধূবরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষা সামগ্রী, চারাগাছ প্রদান

প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সম্পাদক যোগেশ সামন্ত জানান “স্বাধীনতা দিবস পালন, স্বাধীন দেশের প্রতিটি নাগরিকের নাগরিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। আর তাম্রলিপ্তের মানুষ হিসেবে এই দিনটিতে আমরা বিশেষ শক্তি, সাহস, উদ্যম উৎসাহের সঙ্গে এই গৌরবগাঁথা ইতিহাসে পালন করি।

স্বাধীনতার আনন্দে আত্মহারা হলেও অমর শহীদ ও বীর যোদ্ধাদের জানাই আমাদের গভীর শ্রদ্ধা। সেই সাথে সাথে শহীদ জওয়ানদের নিয়ে এই বছর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে দিব্যাঙ্গজনেরা।”

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here