পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
এবার পৌষমেলায় দূষণ নিয়ে ভিন্ন সুর দেখা গেল পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্তের। পরিবেশ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পৌষমেলায় কালো জেনারেটর,কয়লার উনুন ব্যবহার নিষিদ্ধ৷ কিন্তু,এবার মেলায় কয়লা,কাঠের উনুন ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দেওয়া হবে।এদিন বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই ইঙ্গিত দিলেন পরিবেশ কর্মী সুভাষবাবু।বৈঠকে মেলা সুষ্ঠ ভাবে পরিচালনার আহ্বান জানান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (বোলপুর) তন্ময় সরকার।২৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা।ভাঙা মেলায় দূষণ রুখতে পরিবেশ আদালতের হস্তক্ষেপে গত বছর থেকেই পৌষমেলা ৬ দিনের করে দেওয়া হয়। এমনকি,পৌষমেলায় কালো ধোঁয়ার শব্দকারী জেনারেটর ব্যবহার কয়লা কাঠের উনুনের ব্যবহার, প্লাস্টিকের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে দেয় আদালত।
এদিন বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন উপাচার্য।
বৈঠকে মেলার নিরাপত্তা,ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠক করা হয়।উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেন, “এটা একটা মহান যজ্ঞ। এই মহান যজ্ঞে কিছু ভুল ক্রুটি হতে পারে। তবে আমাদের সদৃচ্ছা আছে।আমরা মেলায় যাব কালো জেনারেটর বন্ধ করে দেব।”
পৌষমেলায় দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ, এই অভিযোগ তুলে পরিবেশ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত।এদিন,কার্যত অন্য সুর শোনা গেল সুভাষবাবুর মুখে।তিনি বলেন,”এই মেলা অন্য মেলার চেয়ে ভিন্ন রকম।পৌষমেলায় গিয়ে দেখি একজন বাদাম বিক্রেতা কয়লার উনুন ছাড়া বাদামটা ভাজবে কি করে।আমি পরিবেশ আদালতে আবেদন করব এই বিষয়ে।”
২৩ ডিসেম্বর গৌরপ্রঙ্গণে ৫.৩০ মিনিটে বৈতালিক, শান্তিনিকেতন গৃহে সানাই,৭.৩০ মিনিটে ছাতিমতলায় উপাসনার মধ্য দিয়ে সূচনা হবে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন পৌষমেলা।
এবছর মেলার নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকছে প্রায় দুই হাজার পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ার।থাকছে মহিলা পুলিশের একটি দলও। ইভটিজ়িং ও কেপমারি রুখতে নিয়োগ করা হচ্ছে বিশেষ একটি পুলিশের দল।এছাড়াও,থাকছে বিশ্বভারতীর নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষী সহ এন এস এস ভলান্টিয়ার। মেলা প্রাঙ্গণজুড়ে থাকছে ৪০ টি সিসিটিভি ক্যামেরা। ড্রোন ক্যামেরা।মেলায় প্রবেশ ও শান্তিনিকেতন থেকে মেলায় আসার জন্য ৪০ টি ড্রপ গেট, ছ’টি ওয়াচ টাওয়ার, একটি পুলিশ কন্ট্রোল রুম সহ ১০ টি পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র।
৬ দিনই পৌষমেলা প্রঙ্গণের অনুষ্ঠান মঞ্চে থাকছে বাউল গান, ফরিরি গান,কবিগান, পালাগান,লোকনৃত্য, কাঠিনৃত্য,ছৌ নৃত্য, যাত্রাভিনয়, মনসামঙ্গল,আদিবাদী নৃত্য,সত্যপীরের পাঁচালী,কীর্তন গান, ঝুমুর গান,রামায়ণ গান, মোহলীনৃত্য, রায়বেঁশে, মুখোশনৃত্য প্রভৃতি। ইতিমধ্যেই বাউল, ফরিররা চলে এসেছেন তাদের আখরায়৷ হোটেল,জল গুলিতে মানুষজনের ভিড়,রাস্তা গুলিতেও মানুষের ঢল চোখে পড়ার মত। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের স্টল, জেলা পরিষদ, মৎস্য দপ্তর, পাট শিল্প, চাইল্ড লাইন, আইনি পরিষেবা কেন্দ্র, তাঁত শিল্প সহ সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি, তৃণমূলের স্টল রয়েছে পৌষমেলায়। বিশ্বভারতীর বিভিন্ন বিভগের স্টলও হয়েছে।
আরও পড়ুন: কালিয়াগঞ্জের দুই ভাই জাতীয় স্তরের খো খো প্রতিযোগিতায়
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584