নিউজফ্রণ্ট, ওয়েব ডেস্কঃ
সোমবার লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তে দুই দেশের সেনার মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাঁধে। গালওয়ান উপত্যকায় হওয়া ওই সংঘর্ষের জেরে নিহত হন ২০ জন ভারতীয় সেনা জওয়ান। আর এই সবকিছুর জন্য সরাসরি মোদী সরকারকেই দায়ী করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি।
তাঁর অভিযোগ, লাদাখে ভারতের বীর সেনা জওয়ানদের নিরস্ত্র অবস্থায় বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে সরকার। এরপর রাহুল গান্ধিকে পালটা জবাব দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।
Let us get the facts straight.
All troops on border duty always carry arms, especially when leaving post. Those at Galwan on 15 June did so. Long-standing practice (as per 1996 & 2005 agreements) not to use firearms during faceoffs. https://t.co/VrAq0LmADp
— Dr. S. Jaishankar (@DrSJaishankar) June 18, 2020
বৃহস্পতিবার বিকেল নাগাদ রাহুল গান্ধির একটি টুইট রিটুইট করে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “সংঘর্ষের দিন অস্ত্র নিয়ে গিয়েছিলেন জওয়ানরা। সঠিক তথ্য বলুন।
ভারতীয় সেনা সবসময়ই অস্ত্র নিয়ে থাকে। কিন্তু সামনাসামনি লড়াইয়ের সময় কোনও রকমের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করার নিয়ম সেখানে নেই। গত ১৫ জুন গালওয়ানে যাঁরা ছিলেন, তাঁরাও সেটাই করেছিলেন। সংঘাতের সময় অস্ত্র ব্যবহার না করার প্রথা দীর্ঘদিনের (১৯৯৬ এবং ২০০৫ সালের চুক্তি অনুযায়ী)।”
আরও পড়ুনঃ লাদাখে বীর জওয়ানদের বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য কে দায়ী? প্রশ্ন রাহুলের
তার আগে বৃহস্পতিবার সকালে ১৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো বার্তায় রাহুল বলেন, “ভাই ও বোনেরা, ভারতের নিরস্ত্র সেনাদের হত্যা করে চিন একটি বিরাট বড় অপরাধ করেছে। তবে আমি জিজ্ঞাসা করতে চাই যে, এই বীরেদের নিরস্ত্র অবস্থায় বিপদের দিকে কে এবং কেন পাঠিয়েছে? এই ঘটনার জন্যে কে দায়ী? ধন্যবাদ”।
এরইমধ্যে গালওয়ানে শহিদ ভারতীয় জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বুধবার টুইট করেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। কিন্তু তাতে কোথাও গালওয়ান বা চিন উল্লেখ করেননি। সেজন্য রাজনাথকে একহাত নেন রাহুল। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে, কার্যত ইউপিএ সরকারকে এতদিন যে অস্ত্রে বিঁধত বিজেপি, সেই অস্ত্রেই সোনিয়া পুত্র মোদী সরকারের উপর চাপ ক্রমশ বাড়িয়ে যাচ্ছেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584