পুণ্যস্নান করেছেন দেশের প্রায় ১৬ লক্ষ তীর্থযাত্রীঃ সুব্রত মুখোপাধ্যায়

0
44

সিমা পুরকাইত, দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ

করোনা আবহে এবছর সাগর সঙ্গমে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান করেছেন দেশের প্রায় ১৬ লক্ষ তীর্থযাত্রী। আজ মকর সংক্রান্তির মাহেন্দ্রক্ষণে সকাল ৬:০২মিনিট থেকে স্নান শুরু হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় দু লক্ষ তীর্থযাত্রী স্নান করেন।

press meeting | newsfront.co
সাংবাদিক বৈঠক। নিজস্ব চিত্র

আজ গঙ্গাসাগর মেলা অফিসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “এ পর্যন্ত গত কয়েক দিনে সাড়ে ১৫ লক্ষ তীর্থযাত্রী গঙ্গাসাগর এসেছেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগই স্নান সেরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। কেউ কেউ এদের মধ্যে মাথায় জল ছিটিয়ে স্নান করে বাড়ি গেছেন।” সাংবাদিক বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়, ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু প্রমুখ। সুব্রত বাবু জানিয়েছেন এই মেলায় ১০ লক্ষ ৯০ হাজার তীর্থযাত্রীকে(করোনা) মেডিকেল টেস্ট করা হয় এবং ৩৬,৬০০ তীর্থযাত্রীকে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়।

আরও পড়ুনঃ উকিলের বেশে আলিপুরদুয়ার বার অ্যাসোসিয়েশনে হাজির বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী

তাদের মধ্যে মাত্র ৬ জনের কোভিড পজিটিভ হয়েছে। তারা চিকিৎসাধীন এবং ভাল আছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন এ পর্যন্ত ই -স্নান করেছেন দু’লক্ষ ৩৯৮ জন। গঙ্গাসাগর মেলা ই-দর্শন করেছেন কমপক্ষে ৫১লক্ষ ভারতবাসী। মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত সড়ক তীর্থযাত্রীকে মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে, বাবু ঘাট থেকে গঙ্গাসাগর মেলা ক্ষেত্র পর্যন্ত সমস্ত তীর্থযাত্রীকে স্যানিটাইজ করা হয়েছে।

বিভিন্ন পয়েন্টে যাদের মাস্ক ছিলনা তাদের মাস্ক দেয়া হয়েছে। আদালতের নিয়ম বিধি মেনে সবকিছু ব্যবস্থা নেয়া হয়। করোনা পরিস্থিতির জন্য এবছর তীর্থযাত্রীর সংখ্যা কম হলেও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছিল। তিনি বলেছেন তীর্থযাত্রীরা এরাজ্যের অতিথি, অতিথিদের পরিষেবার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের, সে কথা মাথায় রেখে প্রতিটি ক্ষেত্রে তীর্থযাত্রীদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ পৌষপার্বণে বাংলার তিলোত্তমা রূপের দেখা মিলল জঙ্গলমহলে

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গঙ্গাসাগর মেলায় আগত তীর্থযাত্রীরা কোন ভাবে যাতে অসুবিধায় না পড়েন, সে ব্যাপারে প্রশাসনের আধিকারিকদের সতর্ক রাখা হয়। সিসিটিভি,ড্রোন, পুলিশি নজরদারি উপকূল রক্ষী বাহিনীর নজরদারি সব মিলিয়ে মেলাকে সুশৃঙ্খল ও দুর্ঘটনা মুক্ত করতে এখনও পর্যন্ত সাহায্য করেছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here