সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
আচমকা কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন চার অস্থায়ী কর্মী ও তাঁদের পরিবার।
তাঁদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ ক্ষমতার অপব্যবহার করছে।
আউসগ্রাম ২ ব্লকের ‘যমুনাদীঘি ফিস সিড হ্যাচারি প্রোজেক্টে’র গেটে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। পরে তাতে যোগদান এলাকাবাসীর একাংশ।
তাঁদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট কারণ না দেখিয়ে কোন নোটিশ ছাড়াই ছাঁটাই করা হয়েছে। উল্লেখ্য, রাজ্য মৎস্য দপ্তরের অধীনে এই হ্যাচারিতে মাছের চারা উৎপাদন হয়। মাছ চাষের জন্য রয়েছে ৩৫টি পুকুর। পর্যটকরা যাতে এসে থাকতে পারেন সে জন্য তৈরি হয়েছে অতিথিশালা। জানা যায় প্রায় ৩০ জন স্থায়ী শ্রমিক ছাড়াও অতিথিশালা সাফাই করা, গাড়ির চালক, মালি বিভিন্ন কাজে প্রায় ৭৬ জন অস্থায়ী শ্রমিক রয়েছেন। যাঁরা দৈনিক মজুরি পান। কর্মীদের একাংশের বক্তব্য, কোনরকম নোটিশ ছাড়াই অস্থায়ী কর্মী উত্তম ঘোষ, ডালিম মল্লিক, ছোট্টু বাউরি এবং অশোকা বাউরিকে ডেকে পাঠান হ্যাচারির জুনিয়র প্রজেক্ট অফিসার সুবীর কুমার দে। তাঁদের কাজে আসতে নিষেধ করে দেওয়া হয়।
কর্মীদের অভিযোগ, আসতে মানা করা হলো।কিন্তু কী কারণে ছাঁটাই তা জানানো হয়নি। এরপরই গোলমাল শুরু হয়। উত্তমবাবুদের বক্তব্য, ক্ষমতার অপব্যবহার করছে কর্তৃপক্ষ। কোনো কারণ ছাড়াই ছাঁটাই করা হচ্ছে। যদিও সুবীরবাবুর বক্তব্য, কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এই ছাঁটাই করা হয়েছে। কি কারনে ছাঁটাই করা হয়েছে তা তাঁর জানা নেই। অশোকাদেবী এখানে কাজ করছেন ছয় বছর ধরে। কেন ছাঁটাই করা হলো তা তিনি জানেন না। গাড়ি চালক ডালিমবাবুরও একই বক্তব্য।
আরও পড়ুনঃ বিধাননগরে উদ্ধার ৫ লক্ষ টাকার ভুটানি মদ,গ্রেফতার ২
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে ঘটনাস্থলে যান আউসগ্রাম ২ জয়েন্ট বিডিও নিমাই বিশ্বাস। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।যদি তাতে সমস্যা সমাধান না হয় শ্রমিকদের লিখিত জানাতে বলা হয়েছে বলে তিনি জানান।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584