শুভম বন্দোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
বিভিন্ন সংস্থার আর্থিক তছরুপের ঘটনা তদন্ত করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এবার তাদেরই নথি জাল করে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও নেতাকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা হতো।, এমন অভিযোগ পেয়েছিল বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ। মঙ্গলবার এই সমস্ত কারণে জিজ্ঞাসা করার জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল ব্যবসায়ী সুদীপ্ত রায় চৌধুরী কে। তবে জিজ্ঞাসাবাদের পর বায়না অসঙ্গতি পেয়ে তাকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
বিধাননগর উত্তর থানায় জানানো হয়েছিল, ইডি-র নথি জাল করে প্রতারণা করা হয়েছে অনেকের সঙ্গে। আর এই চক্রের শুধু সুদীপ্ত নয় আরো অনেকেই জড়িত আছে। কিন্তু কীভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-র নথি সুদীপ্তর হাতে আসত, খতিয়ে দেখা হচ্ছে তা-ও। গ্রেফতারের পর ধৃতকে বিধাননগর আদালতে হাজির করিয়ে তাদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ গরু পাচার কাণ্ডে ধৃত এনামুলের কোভিড রিপোর্ট ফের পজিটিভ
ইডি-র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার এক অফিসার সুদীপ্তর নামে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। প্রসঙ্গত, ওই নথি জালের সঙ্গে চিটফান্ডের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। ইডি-র নথিতে বেশ কয়েকজনের নাম দেখিয়ে বলা হত, অর্থের বিনিময়ে তাদের নাম সেখান থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ প্রয়াত প্রাক্তন বিচারপতি অমিতাভ লালা
সুদীপ্ত নিজেকে ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দিতেন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি করতেন। আর পুলিশি ঝামেলা থেকে বাঁচার জন্য অনেকেই তাঁকে তাঁর দাবি মত অর্থ দিয়ে দিতেন। কিন্তু আদতে ওই সমস্ত ব্যবসায়ী বা নেতাদের হয়তো তদন্তের জন্য ডাকা হত না।
সুদীপ্তর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। গোয়েন্দাদের দাবি সুদীপ্তর সঙ্গে বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাও জড়িয়ে রয়েছেন। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনের নাম জানা গিয়েছে। তাদের নজর বন্দি রাখা হচ্ছে। একইসঙ্গে এই ঘটনা বিস্তারিত তদন্ত চালানো হচ্ছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584