নিজস্ব সংবাদদাতা,কালনাঃ
স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি।তার জেরে স্ত্রী বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার পরেই শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের হেনস্থা সহ্য করতে না পেরে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হলেন স্বামী।স্বাভাবিক কারণেই পরপর স্ত্রী ও স্বামীর মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় কালনায়।স্ত্রী সোমা বর্মন(২১)-এর মৃত্যুর পরেই বাপের বাড়ির পক্ষ থেকে কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।এরপরেই ওই ঘটনার পর স্বামী গৌড় বর্মন(২৮)-এর মৃত্যু হয় রবিবার সকালে।
একদিকে স্ত্রীর মৃত্যুর পর শ্বশুরবাড়ির লোকদের হেনস্থার কারনে মৃত্যু ঘিরে উঠছে প্রশ্ন।রবিবার সকালে গৌড়বাবুর মৃত্যুর পরেই কালনা মহকুমা হাসপাতালে মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়।।
হাসপাতাল ও মৃতদের পরিবারসূত্রে জানা যায় যে,কালনা থানার সুলতানপুর পঞ্চায়েতে কাশিমপুরের বাসিন্দা গৌড় বর্মনের সঙ্গে ছয়বছর আগে বিয়ে হয় স্থানীয় খাসপুরের বাসিন্দা সোমার।ওই দম্পতির দুটি কণ্যা সন্তানও রয়েছে।বেশ কিছু টাকা বাজারে দেনা থাকা নিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয়।এরপরেই সকাল ১০ টা নাগাদ স্ত্রী বিষ খেলে তাকে কালনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।শুক্রবার দুপুর ২ টো নাগাদ তিনি মারা যান।এদিকে হাসপাতালে গৌড়বাবুকে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা হেনস্থা করে বলে অভিযোগ।সেই অপমান সহ্য করতে না পেরে শনিবার সকালে গৌড় বর্মন বিষ খান।তাকেও কালনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ও রবিবার সকালের দিকে তিনি মারা যান।দাদা নিতাই বর্মন বলেন, বাপের বাড়ির পক্ষ থেকে গৌড়ের উপর বিভিন্ন ধরনের চাপ আসতে থাকে।তাকে ভয় দেখানোও হয়।এরপরেই মানসিক অবসাদেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন।যদিও এই বিষয়টি ঠিক নয় বলেই জানান সোমার কাকা তাপস দাস।তিনি বলেন,‘আমাদের তো জামাইয়ের সঙ্গে দেখাই হয়নি।ভাইঝি হাসপাতালে ভর্তি হবার কথাও সে আমাদের জানায়নি।আমরা অন্যসূত্রে খবর পেয়ে হাসপাতালে যাই ও দেখি ভাইঝি মারা গেছে।’
আরও পড়ুনঃ কামাখ্যা পুরী এক্সপ্রেস থেকে ৩৮ লক্ষ টাকা সহ গ্রেফতার এক ব্যক্তি
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584