‘আত্মরক্ষা’কে ব্যারিকেড করে সুলেমানের মৃত্যুর দায় স্বীকার বিজনোর পুলিশ সুপারের

0
54

নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ

সিএএ বিরোধীদের ঠান্ডা করতে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলায় গুলি চলেছিল পুলিশের তরফে। একথা দেশের জনগণ পরিস্কার বুঝতে পারলেও আগাগোড়া পুলিশ তা অস্বীকার করে এসেছে।

suleman dies during citizenship law protest | newsfront.co
সুলেমান। চিত্র সৌজন্যঃ এনডিটিভি

গত সপ্তাহে উত্তরপ্রদেশে ১৫ জন বিক্ষোভকারীর বেশিরভাগই পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছে। কিন্তু পুলিশ তা অস্বীকার করে এবং জানায় বিক্ষোভকারীদের সাথে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র থেকে কয়েকজন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন।

suleman dies during citizenship law protest | newsfront.co
বিজনোরে বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিশি অত্যাচার। চিত্র সৌজন্যঃ দ্য স্টেটসম্যান

অবশেষে এনডিটিভিকে দেওয়া একটি বিবৃতিতে উত্তরপ্রদেশের বিজনোরের পুলিশ স্বীকার করে গত সপ্তাহে নিহত দুইজনের মধ্যে একজন পুলিশের গুলিতেই মারা যায়। এই ঘটনা জনসমক্ষে আসতেই বিজনোরে বিক্ষিপ্ত ভাবে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে।

আরও পড়ুনঃ হলং-এ অজ্ঞাত পরিচয় দুই বাইক আরোহীর মৃত্যু

এনডিটিভিকে পুলিশ জানিয়েছে, আত্মরক্ষার তাগিদে একজন কনস্টেবল বছর কুড়ির যুবক সুলেমানকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।

এদিকে সুলেমানের পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিবাদের সাথে তার কোনও যোগই ছিল না। তিনি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

সুলেমানের ভাই শোয়েব মালিক এনডিটিভিকে জানান, তাঁর ভাই নামাজ পড়তে গিয়েছিল। নামাজের পরে কিছু খেতে বাড়ি ফিরছিল সে। গত দু’দিন ধরে তাঁর জ্বর ছিল।

বাড়ির কাছের মসজিদে না গিয়ে অন্য মসজিদে গিয়েছিল সে। মসজিদ থেকে বেরোতেই ও দেখে বাইরে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটাচ্ছে, ব্যাপক লাঠিচার্জ চলছে। এরপর পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে গুলি করে মেরে ফেলে।

আরও পড়ুনঃ ক্যাম্পাসে ঢুকতে না পেরে টুইটে নাগাড়ে ক্ষোভ প্রকাশ ধনকড়ের

এদিকে এনডিটিভিকে বিজনৌর পুলিশ সুপার সঞ্জীব ত্যাগী জানিয়েছেন, “আমাদের একজন কনস্টেবলের বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়া হয়। যখন ছিনতাই করা বন্দুকটি আমাদের কনস্টেবল ফিরিয়ে নিতে এগিয়ে যান, তখন উন্মত্ত জনতার মধ্যে থেকে একজন তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। অল্পের জন্য বেঁচে যান আমাদের পুলিশকর্মী। পরিস্থিতি সামলাতে এবং আত্মরক্ষা করতে বিক্ষোভকারীদের দিকে গুলি চালান ওই কনস্টেবল।”

তিনি আরও জানান, “তাঁর বন্ধুরা তাকে সরিয়ে নিয়ে যায়। তার নাম সুলেমান এবং তিনি মারা গিয়েছেন। জনতার দিক থেকে গুলি চলার ফলে আরও একজন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়, তার নাম আনাস।”

এই ঘটনা সামনে আসতেই ওই দুই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সাথে দেখা করেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here