নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ মৌলিক অধিকার নয় বলে জানাল শীর্ষ আদালত। শুক্রবার কোর্ট জানিয়েছে, রাজ্য কখনও জোর করে কোনও বিশেষ জাতি বা গোষ্ঠীর উপর সংরক্ষণের দায় চাপাতে পারে না। যতক্ষণ পর্যন্ত না, কোনও জাতি বিশেষ সুবিধা পাবে—তার জন্য তথ্য আসে, তার আগে পর্যন্ত সেই জাতির উপর সংরক্ষণের তকমা চাপানো যায় না।
জাতীয় গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে, উত্তরাখণ্ড সরকারের পূর্ত দফতরে অ্যাসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ারদের প্রোমোশনে তফসিলি জাতি-উপজাতিদের জন্য সংরক্ষণের দাবিতে মামলায় এই রায় দিয়েছে আদালত। সংরক্ষণ মৌলিক অধিকার নয়, বলে জানান নাগেশ্বর রাও ও হেমন্ত গুপ্তা।
আরও পড়ুনঃ ব্রেকিং:অবশেষে দিল্লি নির্বাচনের মোট ভোটার শতাংশ প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন
যদিও এই রায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাহুল গান্ধির মতো রাজনীতিবিদরা। রাহুল গান্ধি বলেছেন যে বিজেপি বা আরএসএস যতই বলুক, কোনওভাবেই সংরক্ষণ আটকানো যাবে না। বিজেপি-আরএসএস আদর্শগতভাবে সংরক্ষণের বিরোধী।
তারা চায় না, তফসিলি উপজাতিরা সুযোগ সুবিধা পাক— তাই তারা এই নীতি প্রণয়ন করতে চায়—এমনটাই মনে করেন রাহুল। যদিও বিজেপির বন্ধুদল জেডিইউ ও এলজেপিও এই রায়ের বিরুদ্ধে কেন্দ্রকে পদক্ষেপ নিতে বলেছে।
জানা গেছে, ২০১২ সালের উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের রায়কে বাতিল করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই সময় কোর্টের আইনজীবীরা বলেছিলেন সংবিধানের ১৬(৪) ও (১৬-৪-এ) ধারা অনুযায়ী তফসিলি জাতি-উপজাতিকে সাহায্য করতে রাজ্যগুলি বাধ্য।
তখন শীর্ষ আদালত জানায়, যে যে রাজ্য মনে করবে যে কোনও বিশেষ জাতি-উপজাতির লোক সংখ্যায় যথেষ্ট নয়, তখনই শুধু সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবে তারা। চাকরি বা প্রোমোশন কোনও ক্ষেত্রেই রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া যাবে না, বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584