নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
এক নির্দোষ মা’র কাঁধ থেকে নিজ কন্যা হত্যার দায় সরিয়ে আসামীকে মুক্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে সবাই ভ্রু কুঁচকালেও মিথ্যে দোষী হিসাবে যাঁকে এতদিন খুনের অপবাদ সহ্য করতে হচ্ছিল, তিনি পরম শান্তি পেয়েছেন।
২০০৭-র ২৪ অগাস্ট হাসপাতালে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন ওই মা। তারপর থেকেই পরিবারের সদস্যরা তাঁর দিকে সদ্যোজাত খুনের অভিযোগ দাগিয়ে এসেছে। প্রথমে ২০০৭-র ৩১ অগাস্ট নিম্ন আদালতে এবং পরে ২০১০-র মার্চে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই মহিলা। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টে, শ্বাসরোধে কন্যা সন্তানের মৃত্যু ও প্রমাণ হিসাবে মৃতের গলায় শ্বাসরোধের স্পষ্ট দাগ থাকায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়।
আরও পড়ুনঃ স্বাভাবিক হচ্ছে প্রশাসনিক অবস্থা, কারগিলে চালু ইন্টারনেট-মোবাইল পরিষেবা
কিন্তু কোথাও একটা খটকা বরাবরই থেকে যাচ্ছিল। তাই ওই মহিলা ফের উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। সেখানেই প্রমাণিত হয়, তিনি নিজের সদ্যোজাত কন্যা সন্তানকে খুন করেননি।
কারণ, জন্মের পর থেকে ওই সদ্যোজাত চোখ খোলেনি, কাঁদেওনি। এরপর তড়িঘড়ি অক্সিজেন দিতে তাকে রাখা হয় নিওনেটাল বিভাগে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, অক্সিজেন দেওয়ার সময় কোনওভাবে গলায় নল পেঁচিয়ে মৃত্যু হতে পারে ওই শিশুর, তা না হলে শিশুর গলায় ওই স্পষ্ট দাগ দেখা যেত না। জানতে পারা যায়, জন্মের পর, মায়ের কোলে যখন সদ্যোজাতকে তুলে দেওয়া হয় তখন তার দেহে প্রাণ ছিল না।
আরও পড়ুনঃ সিএএ বিরোধী আন্দোলনে গ্রেফতার বাবা-মা, অনাথ চোদ্দ মাসের শিশু সন্তান
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ইনসাফ ফিরে পেয়ে সেই মা জানান, এক যুগ ধরে মিথ্যে খুনের বোঝা মাথায় নিয়ে বেড়াতে হচ্ছিল তাঁকে। আশা করা যায়, এখন সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা ফিরবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584