নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
পেগাস্যাস স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে ফোনে আড়ি পাতার মামলার আজ বৃহস্পতিবার শুনানি ছিল সুপ্রীম কোর্টে। এই বিষয়ে তদন্ত চেয়ে যে নয়টি মামলা হয়েছে তার আইনজীবীদের আদালত নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকারকে পিটিশনের কপি পাঠানোর জন্য।
প্রধান বিচারপতি বলেন, “যদি এই রিপোর্ট সত্য হয় তাহলে নিঃসন্দেহে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ।” মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য হয়েছে আগামী মঙ্গলবার।
আজকের শুনানিতে বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চান প্রধান বিচারপতি রমান্না। তিনি প্রশ্ন করেন অভিযোগকারীরা কেন আলাদা করে এফআইআর দায়ের করেননি? দ্বিতীয়ত, পেগাস্যাস কান্ড ঘটেছে ২০১৯ সালে, তার দুবছর পরে কেন তাঁরা অভিযোগ করেছেন? প্রধান বিচারপতি এও বলেন যে, মামলাগুলি করা হয়েছে বেশিরভাগই সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টের ভিত্তিতে। কিন্তু মামলাকারীদের একটা বড় অংশ বিশিষ্ট সাংবাদিক বা সমাজকর্মী, তাঁরা তো আরও যথাযথ তথ্য সংগ্রহের দিকেও নজর দিতে পারতেন!
বর্ষীয়ান সাংবাদিক এন রাম ও শশী কুমারের আইনজীবী কপিল সিব্বাল উত্তরে জানান, পেগাস্যাস কান্ড প্রকাশ্যে আসে সিটিজেন ল্যাবরেটরির রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পরে। আর সর্বোপরি, পেগাস্যাস স্পাইওয়্যার বিক্রি করা হয় বিভিন্ন দেশের সরকার বা সরকারি এজেন্সির কাছে, কাজেই সেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব নয় এই তথ্য সংগ্রহ করা।
আরও পড়ুনঃ জলমগ্ন হাওড়া ও কলকাতা স্টেশনের রেললাইন, বাতিল একাধিক ট্রেন
এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি উদাহরণ দেন এনএসও -র বিরুদ্ধে তোলা হোয়াটসএপের অভিযোগের। যেখানে এই স্পাইওয়্যার প্রস্তুতকারী ইসরায়েলি সংস্থা নিজেরাই জানিয়েছিল যে তাদের তৈরি স্পাইওয়্যার সার্ভিস শুধুমাত্র কোন দেশের সরকারই কিনতে পারে।
আরও পড়ুনঃ পেগাস্যাস মামলার পরবর্তী শুনানি মঙ্গলবার, কেন্দ্রকে কপি পাঠানোর নির্দেশ আদালতের
এ প্রসঙ্গে কপিল সিব্বাল আরো বলেন যে, অত্যন্ত স্পর্শকাতর এই রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে যে শুধুমাত্র বিরোধী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বা সাংবাদিকরাই নন, পেগাস্যাস স্পাইওয়্যারের সাহায্যে নজরদারি চালানো হয়েছে বিচারব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ফোনেও। তিনি বলেন, বহু বিশিষ্ট আইনজীবী, সাংবিধানিক পদে আসীন ব্যক্তিবর্গ, সমাজকর্মীর নাম পাওয়া গিয়েছে এই নজরদারির তালিকায়; যেন তাঁরা সকলে সন্ত্রাসবাদী– দেশের জন্য বিপজনক।
কপিল সিব্বাল সহ অন্যান্য আইনজীবীরা সকলেই চান এই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের একটি নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। ক্যাবিনেট সেক্রেটারি বা ওই পদের সমতুল্য কোন আমলার নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিক আদালত। প্রধান বিচারপতি এন ভি রমান্না শুনানিতে বলেন, এ ঘটনায় সত্যিটা সামনে আসা প্রয়োজন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584