শুভশ্রী মৈত্র, ওয়েব ডেস্কঃ
বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন, ১৯৬৭ (ইউএপিএ) এর কয়েকটি ধারার সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে বেশ কয়েকজন প্রাক্তন আইএএস, আইপিএস এবং আইএফএস আধিকারিকদের দায়ের করা একটি মামলায় বুধবার কেন্দ্রকে নোটিশ জারি করলো সুপ্রিম কোর্ট।
দেশের প্রধান বিচারপতি এনভি রমনার নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চে প্রাক্তন আইএএস আধিকারিক হর্ষ মান্দার, ওয়াজাহাত হাবিবুল্লাহ, অমিতাভ পান্ডে, কমল কান্ত জয়সওয়াল, হিন্দাল হায়দার তৈয়বজি, এমজি দেবসাহায়াম, প্রদীপ কুমার দেব, বলদেব ভূষণ মহাজন, প্রাক্তন আইপিএস জুলিও ফ্রান্সিস রিবেইরো, ইশ কুমার এবং প্রাক্তন আইএফএস অফিসার অশোক কুমার শর্মা এরা এই ইউএপিএ ধারার বিষয়ে আবেদন জানান। এই আবেদনের উপর ভিত্তি করেই নোটিশ জারি করলো আদালত।
আবেদনে বলা হয়েছে, এই আইনের অধীনে সফল বিচারের হার অত্যন্ত কম। তবে বিরোধী মত পোষণ করা নাগরিকদের দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখতে এই আইনটি অধিক ব্যবহার হয়। এমনকি দীর্ঘকাল জেলবন্দি হয়ে থাকতে থাকতে মারাও গিয়েছেন অনেকে। আবেদনে বলা হয়েছে, “ধারা ৪৩ডি(৫) এর জামিন সংক্রান্ত শর্তাবলী আইনের প্রকৃত উদ্দেশ্যগুলি অর্জনের পরিবর্তে ভিন্নমতকে দমন করতে নির্বিচারে ব্যবহৃত হয়।” আবেদনে এও বলা হয়েছে যে, যদিও এটি একটি প্রতিরোধমূলক আটক আইন নয়, তা সত্বেও UAPA বিধানগুলির কঠোরতা এটিকে অনুচ্ছেদ ২২ এর সুরক্ষা ছাড়াই প্রায় একটি প্রতিরোধমূলক আটক আইনের অনুরূপ করে তুলেছে।
আরও পড়ুনঃ আগরতলা পুরভোটে তৃণমূলের ইস্তেহার “আগরতলার জন্য নবরত্ন”
মামলার পিটিশনে বলা হয়েছে, যদিও আইনটি “সন্ত্রাসবাদী কাজ”কে এমন একটি কাজ হিসাবে ব্যাখ্যা করে যার মাধ্যমে সন্ত্রাস সৃষ্টি হয়, কিন্তু প্রকৃত অর্থে “সন্ত্রাস” কি সে বিষয়ে কোন স্পষ্ট ধারনা দেয়না। ফলে এই আইন প্রয়োগকারীকে স্বেচ্ছাচারী করে তোলে যা ব্যক্তির জীবন এবং স্বাধীনতাকে হরণ করতে সহায়ক হয়ে ওঠে,এই কারণে আইনটি বাদ দেওয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুনঃ আবার খুলে দেওয়া হচ্ছে কর্তারপুর করিডর, ঘোষণা কেন্দ্রীয় সরকারের
আবেদনকারীরা পিটিশনে উল্লেখ করেছেন যে, UAPA-এ আইনে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার গড় হার ২.১৯ শতাংশ। মূলত ভিন্নমতের কণ্ঠরোধ করতেই ব্যবহার করা হয় আইনটি, তাই আইনটি বাদ দেওয়া আশু প্রয়োজন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584