ওয়েবডেস্কঃ
‘ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করা উচিত ছিল’, মেঘালয়া হাইকোর্টের বিচারপতির এই মন্তব্যকে মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়ে নোটিশ পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট।
মূল বিতর্কের সূত্রপাত গত ১২ ই ডিসেম্বর মেঘালয় হাইকোর্টের বিচারপতি এস. আর. সেনের করা একটি বিতর্কিত মন্তব্যকে ঘিরে । একজন সেনা সংক্রান্ত মামলায় তিনি মন্তব্য করেন, “রক্তপাতের মাধ্যমে ভারত স্বাধীনতা অর্জন করেছে এবং সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে হিন্দু ও শিখরা;যারা চোখের জল আর ভয় নিয়ে তাদের পূর্বপুরুষের সম্পত্তি, তাদের জন্মস্থান ছেড়ে দিয়েছিল এবং আমরা কখনোই তা ভুলে যাব না। এটা উল্লেখ করা খুব একটা ভুল নয় যে ,শিখরা এসেছিল, তারা সরকারের কাছ থেকে পুনর্বাসন পেয়েছিল; কিন্তু হিন্দুদের তা এখনও দেওয়া হয়নি। অতএব, হিংসা ছাড়াই যে ভারতের স্বাধীনতা এসেছে এই কথা ভুল ,বরং ভারতের স্বাধীনতা আনার ক্ষেত্রে লক্ষ হিন্দু ও শিখ তাদের জীবন- জীবিকা , সম্পত্তি ত্যাগের মাধ্যমে হিংসার শিকার হয়েছেন । ”
এর পরই ওই মামলায় তিনি মন্তব্য করেন “পাকিস্তান যেখানে নিজেকে ইসলামিক দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছে সেখানে ধর্মের ভিত্তিতে বিভক্ত হাওয়া ভারতকে হিন্দু দেশ হিসাবে ঘোষণা করা উচিত ছিল; কিন্তু এটি একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ ”
বিচারপতির এই মন্তব্যে নাগরিকত্ব আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন সোনা খান সহ আরও কয়েকজন । তারা আবেদনপত্রে দাবী করেন যে বিচারপতি সেনের এই রায় “আইনীভাবে ত্রুটিপূর্ণ এবং ঐতিহাসিকভাবে বিভ্রান্তিকর”।
আজ এই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ মেঘালয় হাইকোর্টের রেজিষ্টার কে নোটিশ পাঠিয়েছেন বিচারপতি সেনের করা বিতর্কিত ‘হিন্দু রাষ্ট্রের সম্মতি..’ সংক্রান্ত মন্তব্যটি তুলে নিতে।
উল্লেখ্য, মেঘালয় হাইকোর্ট প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের কাছে আবেদন করে যে , পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আগত হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি, খ্রিস্টান, খাসি, জৈন্তিয়া ও গারো প্রভৃতি সম্প্রদায়কে কোন রকম তথ্য প্রমাণ ছাড়াই যেন ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হয় ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584