ভয়াবহ! প্রয়োগ হচ্ছে বাতিল হয়ে যাওয়া ৬৬(ক) আইনঃ সুপ্রীম কোর্ট

0
99

নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ

২০১৫ সালে সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়ে যায় তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৬৬(ক) ধারা। সেই আইনে এখনো গ্রেপ্তার করা হচ্ছে মানুষকে। ‘বিস্মিত’ -মন্তব্য সর্বোচ্চ আদালতের।

supreme court
ফাইল চিত্ৰ

পিপলস ইউনিয়ন ফর সিভিল লিবার্টিস নামে একটি এনজিও সুপ্রীম কোর্টে আবেদন জানায় যে, তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৬(ক) ধারা ২০১৫ সালে বাতিল হয়ে যাওয়ার পরও এই আইনে মানুষকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। সংস্থার আইনজীবী সঞ্জয় পারিখ আদালতে বলেন এটি রীতিমত বিস্ময়কর যে ২০১৫ সালে বিচারপতি শ্রেয়া সিঙ্ঘল এর নির্দেশে বাতিল হয়ে যাওয়ার পাঁচ বছর পরেও এই আইনে হাজার হাজার কেস রেজিস্টার্ড হচ্ছে, মামলা হচ্ছে ট্রায়াল কোর্টে।

এরপরেই বিচারপতি আরএফ নরিম্যান, বিচারপতি কেএম জোসেফ ও বিচারপতি বিআর গাভাই-এর বেঞ্চ জানায় তাঁরা এর বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবেন। এই কারণে বেঞ্চ নোটিশও পাঠিয়েছে কেন্দ্রকে। কেন্দ্রের পক্ষে এটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল বলেন, আইনের বইতে খুব ‘ছোট’ করে ফুট নোট হিসেবে লেখা থাকে যে আইনটি বাতিল হয়ে গিয়েছে। সেকারণেই হয়তো অনেকে বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন নন। আদালত এটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দেয় দু’সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের উত্তর জমা দেওয়ার।

আরও পড়ুনঃ পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

এনজিও টির দাবি, এই মুহূর্তে কেন্দ্র সমস্ত বহুল প্রচারিত সব ভাষার সংবাদপত্রে নোটিশ দিয়ে সকলকে জানাক যে আইনটি ৫বছর আগেই বাতিল হয়ে গিয়েছে অর্থাৎ ৬৬(ক) আর কোন আইন হিসাবে গন্য নয়।

আরও পড়ুনঃ সাম্প্রদায়িক ঐক্য ছাড়া কখনই দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়: আরএসএস প্রধান

পিইউসিএল নামক এনজিওটি তাঁদের আবেদনে আদালতে জানায়, ২০১৫ সালে যখন আইনটি বাতিল হয় তখন ২২৯ টি এই আইনের মামলা ঝুলে ছিল এরপরে ১৩০৭ টি মামলা রেজিস্টার্ড হয়েছে এই আইনে। মহারাষ্ট্রে ৩৮১ টি, উত্তরপ্রদেশে ২৪৫টি, ঝাড়খণ্ডে ২৯১ টি ও রাজস্থানে ১৯২টি। বিচারপতি নরিম্যান মন্তব্য করেছেন, “বিস্ময়কর! জঘন্য! যা চলছে তা ভয়াবহ”।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here