নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
আজ ২২ জানুয়ারি। ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক লাল দিন। আজ একটু পরে সিএএ-এর সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে ১৪০ মামলার শুনানি হবে।
ডিসেম্বর থেকে সিএএ, এনআরসি নিয়ে দেশ জুড়ে যে বিক্ষোভকালীন পরিস্থিতি শুরু হয়েছে, তার উপসংহার আজ লেখা হবে। দিল্লির শাহীনবাগ থেকে কলকাতার পার্ক সার্কাস ময়দানে টানা দুই সপ্তাহ ধরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে সামিল মহিলারা অপেক্ষা করে আছেন শীর্ষ আদালতের শুনানির। কয়েক লক্ষ আন্দোলনকারীর অপেক্ষামান ‘হাম দেখেঙ্গে’-র উত্তর পাওয়া যাবে আজ সুপ্রিম কোর্টে।
আরও পড়ুনঃ চন্দ্রশেখরকে দিল্লি সফরের অনুমতি দিল কোর্ট, শর্ত শুধুই নির্বাচনের কাজ
আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন বিচারপতি এস আবদুল নাজির ও বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এই আবেদনগুলির শুনানি হবে। এর মধ্যেই রয়েছে, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, আসাউদ্দিন ওয়াইসি, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ, কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের দায়ের করা মামলাও। সব মামলাতেই সিএএ-র সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
গত ১৯ জানুয়ারি সিএএ বিরোধিতায় ৬০ টি মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। আবেদন সত্ত্বেও সেদিন সিএএ-র স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। বদলে, সাধারণ মানুষের বিভ্রান্তি কাটাতে সিএএ-র সমর্থনে যথেষ্ট প্রচার করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে পরামর্শ দেন প্রধান বিচারপতি। বোবদে বলেছিলেন, ‘কেন এই আইন পাস হয়েছে, তা নিয়ে যথেষ্ট প্রচার প্রয়োজন।’
আরও পড়ুনঃ সহস্রাধিক বসতি উচ্ছেদ বেঙ্গালুরুতে, বাসিন্দাদের বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর তকমা প্রশাসনের তরফে
সর্বভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে শুনানির জন্য প্রথমবার সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন জমা পড়ে। সুপ্রিম কোর্টেই সেই সময় সিএএ সংক্রান্ত ৬০ টি মামলা জমা পড়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অন্যান্য হাইকোর্টে জমা পড়া পিটিশনগুলিও শীর্ষ আদালতে স্থানান্তরিত করা হয়, একসাথে বিচারের জন্য। আজ এই সমস্ত মামমারই শুনানি।
সিএএয়ের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছে কেরল সরকার। বিজয়নের রাজ্যের তরফে বলা হয়েছে, এই আইন সংবিধান প্রদত্ত সাম্য, স্বাধীনতা ও ব্যক্তি অধিকারে আঘাত করে।
পাশাপাশি কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের দায়ের করা আবেদনে বলা হয়েছে ধর্ম কোনও একটি আইন প্রণয়নের বুনিয়াদ হতে পারে না। নাগরিকত্ব দেওয়া বা নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া যাই হোক, তাতে যদি ধর্মই ভিত্তি হয়, তবে তা পুরোপুরি ভাবে অসাংবিধানিক। আইউএমএল-এর বক্তব্য, সিএএ সাম্যের অধিকার, মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584