নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
সুপ্রিম কোর্ট বুধবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে কেন্দ্রের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়েছে। তবে বেঞ্চ বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই আইনের কার্যক্রম স্থগিত করতে অস্বীকার করেছেন।
প্রধান বিচারপতি বোবদে, বিচারপতি বিআর গাওয়াই এবং সূর্য কন্তের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের কাছে এই প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিল। আবেদনের যুক্তি ছিল যে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আগত অমুসলিম অভিবাসীদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টি ধর্মভিত্তিক বৈষম্যের প্রচার করে।
নতুন আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই ৬০টি মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এ দিন সেগুলির সংক্ষিপ্ত শুনানিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিশ দেওয়া হয়, এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য জানাতে। শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য হয়েছে ২২ জানুয়ারি। ওই দিনই শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রকে তাদের বক্তব্য জানাতে হবে।
আরও পড়ুনঃ নির্ভয়াকাণ্ডে দোষীদের শাস্তি, ঘোষণা বেলা ১ টায়
সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়া আর্জিগুলির মধ্যে কোনওটি ব্যাক্তি, কোনওটি রাজনৈতিক দল বিশেষে জমা পড়েছে। নতুন আইনের উপর স্থগিতাদেশের আর্জি জানিয়েছে ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ, অসমে বিজেপি জোট সরকারের শরিক দল অসম গণ পরিষদ (এজিপি) এবং ডিএমকে। কংগ্রেসের তরফে প্রবীণ নেতা জয়রাম রমেশও একই আর্জি জানিয়েছেন শীর্ষ আদালতে।
চারিদিকে এই প্রশ্নটাই উঠছে যে ধর্ম কখনওই নাগরিকত্ব নির্ধারণের ভিত্তি হতে পারে না। স্বাধীনতার পর বিভিন্ন রাজ্য গঠনের সময়েও ধর্মকে নয়, গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল ভাষাকেই।
আরও পড়ুনঃ নতুন করে বিক্ষোভ দিল্লির রাজপথে, উত্তর-পূর্বে জারি ১৪৪ ধারা
নতুন আইন নিয়ে সংসদে বিতর্কের সময়েও একই কথা বলেছিলেন বিরোধীরা। কংগ্রেস সাংসদ আনন্দ শর্মা বলেছিলেন, ‘‘এর ফলে সংবিধানের মর্মমূলেই আঘাত করা হল।’’ অন্যদিকে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেছিলেন, ‘‘এটা তো একেবারে নাৎসিদের মতো কাজ।’’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584