নিউজফ্রন্ট, ওয়েবডেস্কঃ
নির্ভয়াকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত অক্ষয় কুমারের মৃত্যুদণ্ডের সাজা পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। ফলে দোষীদের ফাঁসির সাজা বহাল থাকল সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে।
The Supreme Court on Wendnesday rejected plea of one of the 4 convicts, Akshay Kumar Singh in the 2016 #Nirbhaya rape and murder case#NirbhayaCase pic.twitter.com/VnqJqvGPha
— editorji (@editorji) December 18, 2019
পুনর্বিবেচনা মামলায় কোনও ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বিচারপতিদের বেঞ্চ। তবে আদালতে প্রাণ ভিক্ষার আর্জি খারিজ হয়ে গেলেও, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে তা জানাতে পারবেন অক্ষয় সিং।
#SupremeCourt confirms death penalty for convicts in #Nirbhaya rape case. SC dismisses convict #AkshayKumarSingh's review plea. pic.twitter.com/umDbWwOBQ0
— Neha Bhan (@neha_journo) December 18, 2019
দীর্ঘ সাত বছর ধরে চলে আসা তদন্তের একটি পর্যায় শেষ হল আজ। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেছেন যে রিভিউ দাখিলের জন্য সাত দিন সময় দেওয়া যেতে পারে এবং রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানাতে এক সপ্তাহ সময় নির্ধারণ করা হবে।
Solicitor General Tushar Mehta says seven days can be given to file review and that one week is the time prescribed to file mercy petition before the President.
Court says Petitioner can avail the relief of mercy petition within the time stipulated. https://t.co/vRKKytgf5o
— ANI (@ANI) December 18, 2019
পাশাপাশি, আদালত বলেছে যে পিটিশনার এই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারবে। এক নজরে নির্ভয়া গণধর্ষণ কান্ডের কিছু তথ্যঃ
• ২০১২ সালের ১৬ জিসেম্বর দিল্লির একটি চলন্ত বাসে নির্ভয়ার গণধর্ষণের পর ১৩ দিনের লড়াই শেষে ২৯ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে মৃত্যু হয় নির্যাতিতার।
• ২০১৭ সালে ফাঁসির সাজা হয় নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডে চার অভিযুক্তের।
• ২০১৮ সালের জুলাইতে সুপ্রিম কোর্ট তাদের ২০১৭ সালের রায়ের পূনর্মূল্যায়ণের আবেদন খারিজ করে দেয়।
• ঘটনায় অভিযুক্ত ছ’জন ধর্ষককে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ।
• বিচারে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে অভিযুক্তদের মধ্যে পাঁচ জনের ফাঁসির আদেশ দেয় আদালত।
• এক নাবালক দুষ্কৃতী দু’মাস জুভেনাইল হোমে বন্দি থাকার পরে মুক্তি পায়।
• বাকি পাঁচ জনের মধ্যে অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত জেলের ভিতরে আত্মহত্যা করে।
• রাষ্ট্রপতি রায় দিতেই দোষীদের ফাঁসির আদেশ কার্যকর করতে প্রস্তুতি শুরু হয় তিহার জেলে।
অবশেষে আসে সেই ফাঁসির আদেশ। যদিও শুনানির আগে কোর্টে নানান বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অপরাধী অক্ষয় কুমারের আইনজীবী এপি সিং। প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘‘মৃত্যুর আগে নিজের প্রথম বয়ানে অভিযুক্তদের কারও নাম পর্যন্ত বলতে পারেননি নির্যাতিতার। কে বা কারা ওই ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানাতে পারেননি তিনি। অক্ষয়ের নাম পর্যন্ত মুখে আনেননি।’’ এপি সিং এর দাবিগুলি ছিলঃ
• চারজনকে ফাঁসি দিলে নির্ভয়ার মাকে হয়তো শান্তি দেওয়া যাবে, কিন্তু অন্য চারজনকে তার জন্য ভুগতে হবে। এটা প্রতিশোধ নেওয়াই হবে। সমাজই আসল আপরাধী। কারণ কেউ ধর্ষক হয়ে জন্মায় না, সমাজই ধর্ষক তৈরি করে।
• জাল রিপোর্ট তৈরি করে আমার মক্কেলকে ফাঁসানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা।
• অপরাধী অক্ষয়ের নামও মুখে আনেননি নির্যাতিতা।
• মৃত্যুর আগে প্রথম বয়ানে কারও নাম করেননি নির্যাতিতা। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা-ও জানাতে পারেননি তিনি। সেপটিসিমিয়া এবং ওষুধের ওভারডোজের কারমেই ওঁর মৃত্যু হয়েছে।
• মৃত্যুদণ্ড মানবাধিকার এবং ভারতীয় সংস্কৃতির পরিপন্থী। গান্ধিজী এর বিরুদ্ধে ছিলেন। আমরা দিল্লিতে বাস করছি, এখানকার পরিস্থিতিই গ্যাস চেম্বারের মতো।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584