শুভশ্রী মৈত্র, ওয়েব ডেস্কঃ
পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনোত্তর হিংসার মামলায় কেন্দ্রকে নোটিস সুপ্রীম কোর্টের। মামলার গত শুনানিতে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে তথ্যে গরমিল থাকার অভিযোগ তোলেন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল।
মানবাধিকার কমিশনের কাছে যেসমস্ত অভিযোগ দায়ের হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু অভিযোগ ভুয়ো, এমনকি এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কিন্তু তিনি আদতে জীবিত রয়েছেন। এই সমস্ত তথ্য আদালতে জানিয়েছিলেন সিব্বল।
শুধু তাই নয়, মানবাধিকার কমিশনের তিন সদস্যের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। এই সব কিছুর পরেই বিচারপতি বিনীত শরণ ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্র, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও নির্বাচন কমিশনকে নোটিস পাঠানোর নির্দেশ দেয়। আদালতের এই নির্দেশের ফলে স্পষ্টতই অস্বস্তিতে পড়তে হলো কেন্দ্রকে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের সত্যতা ও যৌক্তিকতা প্রমাণের দায় এখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাঁধেই বর্তালো।
এদিনের শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, হিংসার ঘটনা ঘটেছে কিছু একথা ঠিক। তবে যে সময়ে হিংসার ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে অর্থাৎ 5 মে নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়া পর্যন্ত সময়ে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে ছিল নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুনঃ থাকবে না সংখ্যালঘু মর্যাদার নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভাজন
এছাড়াও মানবাধিকার কমিশনের যে রিপোর্ট অনুযায়ী কলকাতা হাইকোর্ট এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে তার কপি সার্ভ করা হয়নি রাজ্যকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তদন্তের ক্ষেত্রে অসুবিধায় পড়েছে রাজ্য সরকার। সিব্বল বলেন যে, যেসব ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ সেক্ষেত্রে ধর্ষিতার পরিচয় না জানলে রাজ্যের তদন্তেও ব্যাঘাত ঘটছে।
আরও পড়ুনঃ ভবানীপুরের উপ নির্বাচনে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা কমিশনের, জারি থাকছে ১৪৪ ধারা থেকে ওয়েব কাস্টিং
শুনানিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইনজীবীর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আদালত কেন্দ্র, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং নির্বাচন কমিশনকে নোটিশ দেয় এবং পরবর্তী শুনানির আগে হলফনামা দাখিল করে আদালতে নিজেদের বক্তব্য পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৭ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন স্থির হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584