নিজস্ব সংবাদদাতা, দিল্লিঃ
আধার কার্ডের সাথে সোশ্যাল মিডিয়া যুক্ত করার সমস্ত মামলা সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তরিত হয়েছে। পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সমস্ত উচ্চ আদালতে আধারের সাথে সোশ্যাল মিডিয়া লিঙ্ক করা সংক্রান্ত যাবতীয় বিচারাধীন মামলা সুপ্রিম কোর্ট নিজের ঘাড়ে নিয়েছে।
জানা গিয়েছে, চেন্নাই, মুম্বই এবং মধ্যপ্রদেশের উচ্চ আদালতগুলিতে এ প্রসঙ্গে যে মামলাগুলির শুনানি বিচারাধীন ছিল, তা ফেসবুক ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তরণের আর্জি জানিয়েছে।
ফেসবুক জানিয়েছে, বিতর্ক এড়ানোর জন্য উচ্চ আদালতগুলিতে আধার লিঙ্ক প্রসঙ্গে ওঠা প্রশ্নগুলোর রায় সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া উচিত।
তামিলনাড়ুর অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে ভেনুগোপাল ফেসবুকের আবেদনের বিরোধিতা বাতিল করার পরে শীর্ষ আদালত মামলাগুলি নিজের মধ্যে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ প্রশ্নের মুখে হোয়াটসঅ্যাপের নিরাপত্তা, GIF দিয়ে ঢুকছে হ্যাকাররা
বিচারপতি দীপক গুপ্তার নেতৃত্বে একটি দল আদালতের প্রধান বিচারপতিকে এই সংক্রান্ত যাবতীয় মামলার তালিকা জানুয়ারির শেষ সপ্তাহের মধ্যে জমা করতে বলে।
দীপক গুপ্তার নেতৃত্বে এই দলটি কেন্দ্রকেও একটি রিপোর্ট পেশ করতে বলে, যাতে ভারতে সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের নিয়মাবলী সংক্রান্ত যাবতীয় নির্দেশ থাকবে। ইতিমধ্যে কেন্দ্র জানিয়েছে, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা করা হবে।
এই সোমবার এ সমস্ত বিষয়ে নিয়মাবলী স্থির করে পাকা সিদ্ধান্ত জানানোর তিন মাস সময় পুরণ হল। পাশাপাশি ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘গণতান্ত্রিক দেশে ঝামেলা পাকাবার জন্য ইন্টারনেট একটি কার্যকরী টুল।
প্রযুক্তি অর্থনীতিতে বৃদ্ধি ও উন্নয়ন দেওয়ার পাশাপাশি ভুয়ো খবর, হেট স্পিচের সংখ্যা যেমন বেড়েছে, সেই সঙ্গে দেশদ্রোহের তীব্রতাও বেড়েছে অনেক।”
জাতীয় একটি গণমাধ্যমের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার কেন্দ্রের জেনারেল সলিসিটর তুষার মেহতা জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কিত নিয়মাবলী নতুন করে জারি করার পিছনে জনগণের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের কোনও উদ্দেশ্য নেই। বরং কড়া নিরাপত্তার খাতিরেই এই নিয়ে নতুন করে ভাবা হচ্ছে।
ভেনুগোপাল এ দিন বলেন, বিশ্লেষণের জন্য সরকার ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের থেকে যে তথ্যাদি চাইবে, ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের উচিত তা ডিক্রিপ্ট করা।
কিন্তু এ প্রসঙ্গে উক্ত সংস্থাগুলি জানায়, তাদের কারোরই ডিক্রিপ্ট করার অপশন নেই। আদালত এই প্রসঙ্গে জানায়, এই বিষয়টি একটু হাস্যাস্পদ কারন, ‘বাড়ির মালিকের থেকে সরকার চাবি চাইছে। এ দিকে বাড়ির মালিক বলছে তার কাছে চাবি নেই।’
যদিও তথ্য প্রযুক্তি আইন এর বিরূপ মন্তব্য প্রকাশ করে বলেছে, কোনও ধরনের তথ্য ডিক্রিপ্ট করার ব্যাপারে সংস্থাগুলির উপর জোর খাটাতে পারে না কেন্দ্র। এতে সহমত পোষণ করেছেন ফেসবুকের তরফে উপস্থিত উচ্চ আইনজীবী মুকুল রোহাতগি।
ফেসবুক তার আবেদন পত্রে জানিয়েছে, গোটা ভারত জুড়ে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা নিশ্চিত ভাবে বজায় থাকবে। তবে ক্ষেত্র বিশেষে ভারতের কিছু কিছু রাজ্যের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের আবেদনপত্রের ভিত্তিতে আধার লিঙ্ক করতে হতে পারে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584