মনিরুল হক,কোচবিহারঃ
প্রথম দফার ভোটে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে নেতা মন্ত্রীদের উপরে বাড়তি নজরদারির জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিলো নির্বাচন কমিশন। এছাড়াও ওই দুই কেন্দ্রের সমস্ত হোটেল,গেস্ট হাউস ও সংলগ্ন শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ির হোটেল,গেস্ট হাউসের উপরেও বাড়তি নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বহিরাগতদের রুখতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।এছাড়াও ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকাতেও বাড়তি নজরদারির জন্য নাকা চেকিং বাড়ানোরও নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
আরও পড়ুনঃ বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক দুবের রিপোর্টের ভিত্তিতে মুর্শিদাবাদ সফরে আসতে পারেন উপমূখ্য নির্বাচন কমিশনার
কোচবিহার ও আলিপুর দুয়ারে তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক প্রভাবশালী নেতা মন্ত্রী ও বিধায়ক রয়েছেন।এর মধ্যে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ কোচবিহারের বাসিন্দা।এছাড়াও কোচবিহারের মাথাভাঙ্গার বাসিন্দা বনমন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মণ।বিধায়কদের মধ্যে দিনহাটার উদয়ন গুহ, সিতাইয়ের জগদীশ বসুনিয়া। এমনকি তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলার সহ সভাপতি তথা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল জলিল আহমেদ যথেষ্ট প্রভাবশালী বলে রাজনৈতিক মহলের ধারনা।
অন্যদিকে আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীরও যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করে। এর মধ্যে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটের দিন বুথে গিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীদের সঙ্গে গণ্ডগোলে জড়িয়ে পরার জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও তৃণমূল নেতা আব্দুল জলিল আহমেদের খবর শিরনামে উঠে এসে ছিল।লোকসভা নির্বাচনে ওই ধরনের ঘটনা আটকাতে নির্বাচন কমিশনের নেতা মন্ত্রীর নজরদারির নির্দেশ বলে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের ধারনা।
কাল বাদে পরশু ভারতের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট।এরাজ্যে প্রথম দফায় দেশের এক নম্বর লোকসভা কেন্দ্র কোচবিহার ও সংলগ্ন আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে নির্বাচন।সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে গঠিত কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র।
ওই বিধানসভা কেন্দ্র গুলোর মধ্যে রয়েছে মাথাভাঙা, কোচবিহার উত্তর,কোচবিহার দক্ষিণ,শীতলকুচি,সিতাই, দিনহাটা ও নাটাবাড়ি। অন্যদিকে আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে রয়েছে মাদারিহাট–বীরপাড়া, নাগরাকাটা,আলিপুরদুয়ার, ফালাকাটা,কালচিনি, কুমারগ্রাম এবং তুফানগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র।
এই দুই লোকসভা কেন্দ্রে ভোট গ্রহনের জন্য ১০৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হতে পারে বলে কমিশন সূত্রের খবর।ওই দুই কেন্দ্রের ৩৮৪৪টি বুথে ৩৪,৫৪,২৭৪ জন ভোটার।এই দুই কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে লাগানো হতে পারে বলে নির্বাচন কমিশন সুত্রের খবর। বাকি চার কোম্পানি রিজার্ভে থাকবে বলে জানা গিয়েছে। তবে সোমবার পর্যন্ত ৭৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584