মোহনা বিশ্বাস, ওয়েব ডেস্কঃ
আজ সোমবার রাজ্যজুড়ে ‘পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও’ দিবস পালন করছে বিজেপি। আর তা ঘিরেই সোমবার দুপুরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মধ্য কলকাতার রানি রাসমনি অ্যাভিনিউ। ‘পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও’ দিবস পালনে বাধা দিল পুলিশ। বিশৃঙ্খলতা ছড়ানোর অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপি যুব মোর্চা সভাপতি সৌমিত্র খাঁ, প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা শীলভদ্র দত্ত-সহ বেশ কয়েকজন। মহামারী আইনে তাঁদের আটক করে পুলিশ। বিজেপির মহিলা কর্মীদেরও চুলের মুঠি ধরে টেনে তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে।
মূলত এ রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার ঠিক কী পরিস্থিতি কিংবা একুশের বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর রাজ্যের কী ছবি তা বাংলার মানুষের কাছে তুলে ধরতেই বিজেপির এই ‘পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও’ কর্মসূচি।
রবিবারই স্থির হয়েছিল যে, সোমবার দুপুর দেড়টা নাগাদ রানি রাসমনি রোডে ‘পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও দিবস’ পালন করবেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরা। সঙ্গে থাকবেন রাজ্য বিজেপির অন্যান্য নেতানেত্রীরা। সেইমতো এদিন দুপুরে ১টারও আগে থেকে রানি রাসমনিতে কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি শুরু করেছিল গেরুয়া শিবিরের কর্মী, সমর্থকরা। নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ।
তাঁদের অভিযোগ, বিজেপির এই কর্মসূচি পালনে বাধা দেয় পুলিশ। রানি রাসমণি রোডে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় বিজেপি কর্মীদের। এরপরই বাধার মুখে পড়ে কর্মসূচির স্থান বদল করা হয়। রানি রাসমনি রোডের বদলে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে কর্মসূচি পালন করা স্থির হয়।
কিন্তু সেখানেও পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বিজেপি কর্মীদের। এরপরই পুলিশ বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ এবং আরেক বিজেপি নেতা শীলভদ্র দত্তকে আটক করে। তাঁদের জোর করে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। সেখানেও পুলিশের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন শীলভদ্র দত্ত। পরে কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে আটক হন শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, দেবশ্রী চৌধুরীরাও। পুলিশসূত্রে জানা যায়, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী সহ অন্যান্য বিজেপি কর্মীদের মহামারী আইনে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ জল্পনা সত্যি করে তৃণমূলে অসমের মেয়ে সুস্মিতা দেব
এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “যারা ত্রিপুরায় গিয়ে বলে গণতন্ত্র নেই। তারা কী করে এখানে এই ধরনের কাজ করছে।” বিজেপি অভিযোগ তুলেছে, যেখানে তৃণমূলের খেলা হবে দিবস পালিত হতে পারে। সেখানে বিজেপি কর্মসূচি নিলেই অপরাধ? প্রত্যেকদার বিজেপির কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হয়!
আরও পড়ুনঃ কাবুল দখলের পর ভারতকে বন্ধুত্বের আহ্বান তালিবানের
এদিকে, এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “এটা কোনও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়। এটা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। মহামারী আইনে এ ভাবে কোথাও তো ভিড় করা যায় না বলেই প্রশাসন জানিয়েছে। আর খেলা হবে দিবস তো মাঠে হচ্ছে। একটা জায়গায় ভিড় করে কেউ কিছু করছে না। তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ বিজেপি আনছে তার কোনও অর্থ নেই।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584