নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা হাইস্কুল মাঠে বিজেপি দলের পক্ষ থেকে এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ওই সমাবেশে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বক্তব্য রাখেন।শুভেন্দু অধিকারী সহ উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা ধীমান কোলে, মদন রুইদাস,শিবু পানিগ্রাহী সহ আরো অনেকে।
এইদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে ছোট আঙারিয়া সম্বন্ধে তিনি বলেন, “এখান থেকে কিছু দূরে এক ঝুড়ি লোক নিয়ে সভা হচ্ছে আর এখানে দুটো ফুটবল মাঠ নিয়ে সভা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমি ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়েছি আর এদের পায়ের তলায় কাটা ফুটেছে,”লাফাচ্ছে”৩০ মিনিটের বক্তব্যে ২৯ মিনিট আমার বিরুদ্ধে বলেন।
আরও পড়ুনঃ গড়বেতায় ‘কাপুরুষ’ বলে শুভেন্দুকে আক্রমণ তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির
আমি নাকি মীরজাফর হয়ে গডসের দলে ঢুকেছি, আরে সেদিন যদি গডসের দলের ভারতরত্ন পাওয়া প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপায়ী দরজাটা খুলে না দিতেন মাননীয়া আপনার পার্টির ঘাস টাই উবরে চলে যেত, এমনই মন্তব্য করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবারে শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে আঞ্চলিক দল করার প্রসঙ্গ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেছিলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।তারই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় গড়বেতা হাইস্কুল ময়দানে বিজেপির জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “আমি যদি আঞ্চলিক দল করতাম তাহলে তোমার সুবিধা হত।
আরও পড়ুনঃ ধাক্কা খেল তৃণমূল! পটাশপুরে অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নীলমাধব
আমি ঐরকম টুপি পরিনি, আমি তো বিয়ে করিনি। আমার শারীরিক অক্ষমতা হলে আমার পার্টিটার মালিক হত আমার ভাইপো, তৃণমূল কংগ্রেস এখন পার্টি নয়,পিসি ভাইপো কোম্পানি হয়ে গেছে।” শুভেন্দু অধিকারী তার ভাষণে আরো বলেন যে, বাংলার গর্ব বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,পঞ্চানন বর্মা,নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, বিবেকানন্দ, পন্ডিত রঘুনাথ মুরমু।
অন্য কাউকে আমরা বাংলার গর্ব বলে মনে করিনা। তিনি তার ভাষণে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প গুলিকে রাজ্য সরকারের প্রকল্প বলে চালাচ্ছে তৃণমূলের সরকার। বাংলা আবাস যোজনায় দুর্নীতি হচ্ছে, সরকারী টাকা চুরি হচ্ছে, ১০০ দিনের টাকা চুরি করছে, ছেলেদের সাইকেল দেওয়ার টাকা চুরি করছে, শিশুদের পোকা ছোলা দেওয়া হচ্ছে তা গোমাতা ও খাবেনা। আর এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী কে বলেন তুই কে রে আবার জেপি নাড্ডা কে চাড্ডা,নাড্ডা,হাড্ডা বলে মন্তব্য করেন এটা বাংলার সংস্কৃতি নয়। এই সংস্কৃতির বিরুদ্ধে লড়তে হবে সকলকে।”
তিনি বলেন ২০১৯ সালে আপনারা হাফ করে দিয়েছেন আমরা ২০২১ সালে তৃণমূলকে সাফ করে দেব। আগামীদিনে তৃণমূল বলে কিছুই থাকবে না। কেন্দ্র সরকার ও রাজ্যের সরকার এক থাকা দরকার, তাহলে রাজ্যের উন্নয়ন হবে। এই রাজ্যকে মোদিজীর হাতে তুলে দিতে হবে।
সেই সঙ্গে তিনি বলেন,”তৃণমূল কি করছে তা রাজ্যের মানুষ ভালোভাবেই নজর রাখছে। আমার সঙ্গে কি ডিল হয়েছে, আমি বলি, আমার সঙ্গে ডিল হয়েছে প্রতি বছর এসএসসি হবে, বেকার যুবকরা চাকরি পাবে। আমার সঙ্গে ডিল হয়েছে শান্তিনিকেতনে রাজনীতিকরণ হবে না।” এখন যারা বড় বড় কথা বলছেন তাদেরকে একসময় আমি বাঁচিয়ে ছিলাম, আর তারাই এখন আমার বিরুদ্ধে কথা বলছে। এই গড়বেতায় আমি প্রথম এসেছিলাম তখন দুই হাজার মানুষকে নিয়েই এই মাঠে সভা করেছিলাম।
তখন কেউ আসেনি। তিনি বলেন হাথরাস নিয়ে যোগী আদিত্যনাথের মত মানুষকে কটাক্ষ করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করা হচ্ছে। যোগী আদিত্যনাথ একজন ভালো মানুষ। যিনি উত্তরপ্রদেশে ভালো কাজ করছে। কৃষকদের পক্ষে এই কৃষি বিল ভালো। কৃষি বিল পাস হওয়ার পরে যে নির্বাচন হয়েছে বিহারে, সেখানে বিজেপি সরকার গড়েছে।
রাজস্থানে পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি জয়লাভ করেছে। তাহলে কৃষি বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলন কেন সেটাই মানুষের প্রশ্ন। কারণ কৃষি বিল কৃষকের পক্ষে ভালো। এটা তৃণমূল মেনে নিতে পারছে না। তাই কৃষকদের ভুল বোঝাতে ওদের আন্দোলন বলে শুভেন্দু অধিকারী বলেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584