নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব মেদিনীপুরঃ
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার পর থেকেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে তৃণমূলের ভাঙ্গন অব্যাহত। জেলা নেতৃত্ব থেকে শুরু করে কাউন্সিলর,বিধায়ক,সহ একাধিক তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা ধীরে ধীরে নাম লেখাতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবিরে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে।
যার কারণে অনেকটাই অসুস্থার মধ্যে রয়েছে জেলা তৃণমূল থেকে শুরু করে রাজ্য তৃণমূল। পাশাপাশি সংবাদমাধ্যম থেকে শুরু করে রাজনৈতিক বিশ্লেষণ কারীদের চর্চার মূল কর্ণধার হয়ে দাঁড়িয়েছে শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দ্বারিবেড়্যা কালী মন্দির সংলগ্ন ময়দানে বিজেপির ডাকে বিরাট জনসভার আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়,শুভেন্দু অধিকারী সহ একাধিক জেলা ও রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
কমিটির সদস্য সোমনাথ ভূঁইয়া সহ নন্দীগ্রামের আন্দোলনের শহীদ নিশিকান্ত মণ্ডলের ছেলে সত্যজিৎ মণ্ডল সহ কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক বিজেপিতে যোগদান করেন। যাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বাবুল সুপ্রিয় এবং জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। এই দিন এই জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলকে কোম্পানি বলে কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি নাম না করে ভাইপোকে তোলাবাজির আখ্যা দিয়ে, বর্তমান রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক তোপ দাগলেন শুভেন্দু অধিকারী।
তিনি আরো বলেন, “গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে এই কোম্পানি পার্টি টা কে তৈরি করেছি, এখন বড় বড় কথা বলছে। আমি বিজেপির প্রাথমিক সদস্য হয়ে বলছি এখান থেকে পার্টি কোম্পানি টাকে তুলে পাশের হলদী নদীর উপর ফেলবো।” বেশ কয়েকদিন ধরে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে শাসকদলের অনেকেই শুভেন্দু কেন নতুন দল গঠন করল না বলে কটাক্ষ করেছিলেন।
সেই প্রশ্নের জবাবে এদিন নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক বলেন, “ওরা প্রশ্ন করেছে আঞ্চলিক দল না করে আমি বিজেপি–তে গিয়েছি কেন? কারণ, আমি আঞ্চলিক দল করলে একটা ছোটখাটো পার্টি বানাতে পারতাম। কিরণময় নন্দ যেমন সোশ্যালিস্ট পার্টি, প্রমোদবাবু ডিএসপি, তার আগে সুশীলবাবুরা বাংলা কংগ্রেসের মতো দল তৈরি করেছিলেন।
আরও পড়ুনঃ উলটপুরাণ! কেশপুরে তৃণমূল,বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ শতাধিক পরিবারের
সেটা আমিও পারতাম।” কিন্তু কেন করলেন না তিনি নতুন দল? নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন,আমি তো অবিবাহিত। তাই আমার ভাইপো সেই পার্টির নেতা হত। ওই জন্য আঞ্চলিক দল বানাইনি। তাই পৃথিবীর সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিজেপি–তে গিয়েছি। আর ওরা আমাকে দলে নিয়েছে আদর করে, সসম্মানে গ্রহণ করেছে।
শুভেন্দু অধিকারীর সভাতেও কৃষি আইনের সম্বন্ধে শোনা গেল একাধিক মন্তব্য। তিনি আরো বলেন কৃষি আইন চালু হওয়ার পর থেকে যেসব রাজ্যে ভোট হয়েছে সেখানে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। এদিন নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক প্রকল্পের বিষয় তুলে আনলেন তিনি। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে এ রাজ্য চালানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন শুভেন্দু। এদিন সভার পাশাপাশি দ্বারিবেড়্যা কালী মন্দিরে পুজো দেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584