উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ
শুক্রবার নরেন্দ্র মোদীর রাজনৈতিক ক্লাসে শামিল হবেন শুভেন্দু অধিকারীও। আজ বড়দিনে বিজেপির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নরেন্দ্র মোদী ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে। বিজেপি সূত্রে জানা গেছে,
রাজ্যে আটাত্তর হাজার পুলিশ বুথ রয়েছে।
গড়ে ৭টি করে বুথ নিয়ে একটি করে শক্তি কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে বিজেপির তরফে। এরকম প্রায় দশ হাজার শক্তিকেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে রাজ্য জুড়ে। এই শক্তি কেন্দ্রগুলো নিয়েই ভার্চুয়াল মিটিং করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই শক্তি কেন্দ্রগুলিতে স্থানীয়স্তরের নেতাদের পাশাপাশি রাজ্যস্তরের নেতাদেরও উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়ার ডোমজুড়ের একটি শক্তি কেন্দ্রে উপস্থিত থাকবেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
মেদিনীপুরের কাঁথির একটি শক্তি কেন্দ্রে উপস্থিত থাকবেন সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা শুভেন্দু অধিকারী। জানা গিয়েছে, এই শক্তি কেন্দ্রগুলি থেকে মোদী নিচুতলার কর্মীদের কথা শুনবেন এবং তিনিও কিছু পরামর্শ কর্মীদের দেবেন।মোদীর এই কর্মসূচির পিছনে দুটি কারণ রয়েছে। এক, বিধানসভা ভোটের আগে স্থানীয় নেতাদের মনোবল আরও বৃদ্ধি করা। দুই, বুথ স্তরে সংগঠনকে আরও মজবুত করা।
আরও পড়ুনঃ আরও চাপে মোদী সরকার, বিক্ষোভকারী কৃষকদের সমর্থনে পম্পেওকে চিঠি মার্কিন আইন প্রণেতাদের
কারণ, বিজেপি নেতৃত্ব ভালো করেই জানে রাজ্যের সব বুথে তাদের সংগঠন এখনও মজবুত নয়। এর আগে বঙ্গ সফরে এসে রাজ্য নেতাদের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বুথ স্তরে সংগঠনকে আরও জোর দিতে বলেছিলেন। অমিতের নির্দেশ ছিল, জনসংযোগ কর্মসূচি আরও বেশি করে চালিয়ে যেতে হবে। মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছতে হবে নেতাদের। বিজেপির পক্ষে হাওয়া থাকলেই রাজ্য দখল করা যাবে না।
আরও পড়ুনঃ আইন প্রত্যাহার না হলে বরিসকে আসতে মানা
রাজনৈতিক মহলের মতে, বাংলার বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। সেই কারণে একের পর এক কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নজর এসে পৌঁছেছে বাংলার উপরে। অমিত শাহ ইতিমধ্যে রাজ্য সফর শুরু করে দিয়েছেন। বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডাও প্রতি মাসে এ রাজ্যে আসার কথা জানিয়েছেন। এ বার বাংলার ভোটের দিকে তাকিয়ে ময়দানে নেমে পড়লেন নরেন্দ্র মোদীও।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584