হুগলির মাটিতে দাঁড়িয়ে নাম না করে কল্যাণকে তোপ শুভেন্দুর

0
140

নিজস্ব সংবাদদাতা, হুগলিঃ

শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা তোপ শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার বলাগড়ে স্থানীয় মতুয়া সম্প্রদায়ের একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। হুগলির মাটিতে দাঁড়িয়েই হুগলির তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

suvendu adhikari | newsfront.co
গ্রাফিক্স চিত্র

সরব হলেন ব্যক্তি আক্রমণের বিরুদ্ধে। মুখে নাম না নিলেও তৃণমূলের এই নেতার নিশানায় যে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিন স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের পাশাপাশি মঞ্চে ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক পারভেজ রহমান।

আরও পড়ুনঃ রাষ্ট্রপতি শাসনের হুমকি বাবুলের, করে দেখাক-পাল্টা কল্যাণের

গত কয়েক মাস ধরেই শুভেন্দু-তৃণমূল ব্যবধান চওড়া হয়েছে। এর মধ্যেই নন্দীগ্রামে ১০ই নভেম্বর অরাজনৈতিক সভা থেকে তোপ দেগেছিলেন মন্ত্রী। চোখা চোখা সেই বাক্যবাণ দলীয় নেতৃত্বকেই উদ্দেশ্য করে ছুঁড়ে ছিলেন তিনি। ওই দিনই পাল্টা সভা করে তাঁকে বেঁধেন ফিরহাদ হাকিম, দোলা সেন, পূর্ণেন্দু বসুরা।

সেই সভার দু’দিনের মধ্যেই হুগলির সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামের গাছের তলায় বড় হয়েছিস। ৪টে মন্ত্রিত্ব পেয়েছিস, ৪ খানা চেয়ারে আছিস। কত পেট্রোল পাম্প করেছিস! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে মিউনিসিপ্যালিটিতে আলু বিক্রি করতিস রে, আলু বিক্রি করতিস’।

আরও পড়ুনঃ কেরালার জেলবন্দি সাংবাদিকের সঙ্গে আইনজীবীকে দেখা করার অনুমতি দিল সুপ্রিমকোর্ট

এরপর এক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে, শ্রীরামপুর সাংসদের এহেন মন্তব্য নিয়ে কোনো টু শব্দটি না করেননি শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এদিন বলাগড়ে মতুয়াদের সভায় গিয়ে জনতার উদ্দেশে শুভেন্দু অধিকারীর প্রশ্ন ছিল, ‘আমি শ্রদ্ধা জানিয়েই বলছি প্রাক্তন সাংসদ অনিল বসু যখন কাউকে আশালীন কথা বলতেন তখন হুগলির মানুষ মেনে নেয়নি।

আজ যদি কোনও বর্তমান জনপ্রতিনিধি আমার বা আমার পরিবারের বিরুদ্ধে কোনও অশালীন আচরণ করেন তবে কী আপনারা মেনে নেবেন?’ জনতা সোচ্চারে ‘না’ বলতেই মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা কি এই সংস্কৃতিকে সমর্থন করেন?’ জনতা ফের একবার ‘না’ বলতেই ধন্যবাদ জানিয়ে মঞ্চ থেকে নেমে যান তৃণমূল বিধায়ক।

আরও পড়ুনঃ আদালতের নিষেধ সত্ত্বেও রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো করার দাবিতে বিক্ষোভ

এদিন শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘আমি খুশি হয়েছি। ওঁর প্রতিটা কথাকেই স্বাগত জানাচ্ছি। শিশির অধিকারী আমার পিতৃস্থানীয়। তাঁকে আমি শ্রদ্ধা করি। তাঁর পরিবারের প্রত্যেকের প্রতি আমার ভালোবাসা আছে।

শুভেন্দুর প্রতিও আমার ভালোবাসা আছে’। ভোট যত এগিয়ে আসছে শাসক-বিরোধী তরজা ততই বাড়ছে। তবে তা ছাপিয়ে যাচ্ছে শাসক দল তৃণমূলের আভ্যন্তরীণ অশান্তি। এদিনের ঘটনা তার একটা জীবন্ত উদাহরণ।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here